কথায় আছে, ‘আগে দর্শনধারী, পড়ে গুণ বিচারী’। প্রথম দেখাতেই আমরা একজন মানুষ সম্পর্কে ধারণা করে ফেলি। আর সুন্দর চেহারা আমাদের কার না আকৃষ্ট করে বলুন? তবে চেহারা সুন্দর রাখতে প্রয়োজন সুন্দর ত্বক।
সারা বছরই স্বাস্থ্যবিদরা ত্বকের যত্ন নিতে বলেন। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে অর্থাৎ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতকালে পরিচর্যার ধরণটাও পালটে যায়। যদি শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা ধরা হয়, তাহলে প্রথমেই আসে ত্বকের কথা। ত্বক কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সারা শরিরের উপর প্রভাব ফেলে, এমনকি মনেও।
সব ঋতুতেই ত্বকের যত্নে ময়শ্চারাইজার খুব গুরুত্বপুর্ণ। তবে শীতের সময় এর গুরুত্ব আরও খানিকটা বেড়ে যায়। কারণ, এসময় ত্বক হারাতে থাকে প্রোয়োজনীয় আর্দ্রতা। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত ময়শ্চারাইজার লাগানো উচিত। তবে শুধু লাগালেই হবে না, ময়শ্চারাইজার লাগানোরও আছে বিশেষ সময়। সে সম্পর্কে আপনি জানেন কি? আজ বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য থাকছে ময়শ্চারাইজার লাগানোর সঠিক সময় কখন সে সম্পর্কে আলোচনা। চলুন জেনে নেই-
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে
ঘুমোতে যাওয়ার আগে সারা শরীরে ময়শ্চারাইজার বা বডি লোশন লাগানো যথেষ্ট উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে রাতে ঘুমোনোর সময় অন্য নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চলতে থাকে, সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে মাখা ময়শ্চারাইজারও ত্বককে হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়।
শরীরের অবাঞ্ছিত লোম তোলার পর
অবাঞ্ছিত লোম নির্মূল করার সময় শেভিং বা ওয়াক্সিং এর সাহায্য আমরা নিয়ে থাকি। কিন্তু এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বোঝা যায় যে, ত্বকের উপরিস্তরের আর্দ্রতাও অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলার পর রাসায়নিকমুক্ত কোনও বডি লোশন বা ময়শ্চারাইজার মাখতে পরামর্শ দেন।
গোসলের পর
শীতকালে আমরা অনেকেই গোসল করতে গড়িমসি করি। অনেকে গোসল না করেই শরীরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে থাকেন। অথচ ভেজা অবস্থাতেই আমাদের ত্বক সবচেয়ে বেশি আর্দ্র থাকে। ফলে দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত গোসল করা এবং গোসলের পর সারা গায়ে ময়শ্চারাইজার লাগানো অত্যন্ত জরুরি।