বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এসময় তাই অর্থ নয় বরং তথ্যকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এজন্য প্রতিটি দেশের জন্য তার ডাটা সেন্টার তথা তথ্যকেন্দ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটবে এই তথ্যকেই কেন্দ্র করে।
তথ্য কেনা-বেচার অনলাইন মার্কেটপ্লেস ক্লাউডসিন প্ল্যাটফর্মের বরাতে জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টা সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডাটা সেন্টারের সংখ্যা প্রকাশ করে। এই তালিকায় তারা কোনো সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকা ডাটা সেন্টারকে রাখেনি। এখানে তারা শুধু ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত ডাটা সেন্টারগুলোকেই তালিকায় রেখেছে। তাই চলুন দেখে আসি, বিশ্বের কোন দেশে কতগুলো ডাটা সেন্টার আছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এই তালিকায় প্রথমে স্থান করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে সর্বাধিক সংখ্যক ডাটা সেন্টার নিয়ে তারা তাদের শক্তিশালী অবস্থান আরও দৃঢ় করে নিয়েছে। দেশটিতে শুধু ব্যক্তি মালিকানায়ই দুই হাজার ৬০০ এর বেশি ডাটা সেন্টার রয়েছে ।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। তাদের ডাটা সেন্টারের সংখ্যা ৪৫১টি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের চেয়ে পাঁচ গুণেরও বেশিসংখ্যক ডাটা সেন্টার রয়েছে। আর একক দেশ হিসেবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বিশ্বের ৩৩ শতাংশ ডাটা সেন্টারের অবস্থান।
এই তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। তাদের কাছে ৪৪২টি ডাটা সেন্টার রয়েছে। এই তালিকায় ২৭৯টি ডাটা সেন্টার কানাডা চতুর্থ, ২৭৪টি ডাটা সেন্টার নিয়ে নেদারল্যান্ডস পঞ্চম, ২৭২টি ডাটা সেন্টার নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া, ২৪৮ টি ডাটা সেন্টার নিয়ে ফ্রান্স সপ্তম, ১৯৯টি ডাটা সেন্টার নিয়ে জাপান অষ্টম, ১৪৫টি ডাটা সেন্টার নিয়ে রাশিয়া নবম এবং ১২৮টি ডাটা সেন্টার নিয়ে দশম অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল।
আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তালিকায় দ্বাদশ অবস্থানে রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটিতে ১২৩টি ডাটা সেন্টার রয়েছে।
এদিকে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম। বাংলাদেশে ছয়টি ডাটা সেন্টার রয়েছে, এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে পাঁচটি। আর অরেকটি ডাটা সেন্টার রয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।
ঢাকায় কোলো নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় সর্বাধিক তিনটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। আর একটি করে ডাটা সেন্টার রয়েছে কোলো সিটি, ডেভো টেক এবং জিওন বিডির। এগুলোর মধ্যে ডেভো টেক ক্লাউড সার্ভিস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবেও কাজ করে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বাংলাদেশকে এই খাতে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একই সাথে বাংলাদেশ ও দেশের নাগরিকদের তথ্য যেন সুরক্ষিত থাকে সেই বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।