fbpx

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ইইউ স্থগিত করলো জনসনের টিকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মার্কিন প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা টিকা ব্যবহারে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সাময়িকভাবে এই টিকার প্রয়োগ স্থগিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইইউতে এখনো এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে, এই পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল স্বাস্থ্য সংস্থা দেশটিতে ছয়জন টিকাগ্রহীতার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রেক্ষিতে গতকাল ১৩ এপ্রিল জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রয়োগ স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এই ছয় টিকাগ্রহীতার সবাই ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সী নারী। তাদের সবার শরীরেই টিকা গ্রহণের তিন সপ্তাহ পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে এক নারীর মৃত্যু আর অপর একজন আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে টিকা কর্মসূচি এর কারণে ব্যাহত হবে না বলেও জানায় ফেডারেল স্বাস্থ্য সংস্থা।

দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা জানিয়েছেন, সবগুলো অঙ্গরাজ্যে জনসনের এই টিকা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। তবে, ফাইজার ও মডার্নার টিকার সরবরাহ সবগুলো কেন্দ্রে বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানায় তারা। আর এরইমধ্যে যারা জনসনের টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদের যে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সাথে সাথেই নিজস্ব চিকিৎসকের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

করোনা টিকা বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফাউজার ও মডার্নার টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এমনকি, প্রতিদিন ৩০ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জনসনের টিকা প্রথম সরবরাহ করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে সেখানের মানুষকে এ টিকা দেওয়ার পর তাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কোন খবর পাওয়া যায়নি। দেশটিতে প্রায় তিন লাখ স্বাস্থ্যকর্মী জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা গ্রহণ করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে জনসন এই সপ্তাহেই তাদের টিকা সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করেছিল। তবে, টিকা পাঠানোর একদিন আগে জনসন অ্যান্ড জনসন ইউরোপে টিকা সরবরাহ স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে, ইইউ এখনো এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের দিকে লক্ষ রাখছে।

এদিকে, ইউরোপের বাজারে জনসনের মতোই সমস্যায় পড়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা। এই দু’টি টিকার ক্ষেত্রে একই ধরণের প্রযুক্তি হিসেবে রূপান্তরিত ও নিরীহ ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। টিকা দু’টি প্রয়োগের পরও  কয়েকটি দেশে কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার খবর পাওয়া গেছে। সেই প্রেক্ষিতে অনেক দেশই এ টিকা প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু কয়েকটি দেশে বয়স্ক ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে এই টিকা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply