ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর প্রথমবারের মত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে। ইসরায়েলি হামলার ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া অনেক ফিলিস্তিনিই বাড়ি ফিরেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও আহতদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে করিডোর তৈরির আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস, গাজায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তার আশঙ্কা ইসরায়েলি সহিংসতায় আহত হওয়া হাজারো ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য সেবার ঝুঁকিতে পড়ছে।
ফিলিস্তিনি ইস্যুতে পরিবর্তন এসেছে মার্কিন মুলক থেকেও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই সম্মান করতে হবে। এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
বাইডেন বলেন, ‘ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেরর বাসিন্দাদের সুরক্ষা থাকাটা জরুরি।’
দীর্ঘ ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর, শুক্রবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। একে দুই পক্ষই নিজেদের বিজয় বলেই দাবি করছে।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন হাজারো ফিলিস্তিনি। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই তাদের লক্ষ্য করে পাথর, ধোঁয়া বোমা ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ইসরায়েলি পুলিশ।
এ মাসের শুরুর দিকেই, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পরে। গাজায় একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ৬৬ শিশুসহ অন্তত ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১১ দিনের সহিংসতায় পর মিসরের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন।