গাজা ও ইসরায়েলের সংঘাত চলার মধ্যেই হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেছেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যে’ যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তবে, গতকাল বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বদ্ধপরিকর।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে হামাসের রাজনৈতিক এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুসা আবু মারজৌক বলেন, ‘আমার ধারণা, এক-দুইদিনের ভেতরেই আমরা যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে পারবো। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এ যুদ্ধবিরতি হবে’।
গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির জন্য ফোনালাপে চাপ দিয়েছেন নেতানিয়াহুকে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে এটি চতুর্থ ফোনালাপ। এদিকে, আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন মহলের ইসরায়েল ও হামাসের ওপর যুদ্ধবিরতির চাপ থাকলেও তার মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার ভোরেও গাজায় হামাসের নানা স্থাপনার ওপর শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টা জবাবে গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলো।
উল্লেখ, দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের একটি এলাকা ও আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বৃদ্ধির এক পর্যায়ে হামাস ইসরায়েলের স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ছুড়লে ইসরায়েলও পাল্টা গাজায় বিমান হামলা শুরু করে।
এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতায় কমপক্ষে ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে ১০০ জনের বেশি। আর আহত হয়েছেন দেড় হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।