fbpx

যে কাজগুলো করলে দূরে থাকবে মাইগ্রেনের ব্যথা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বব্যাপী মাথাব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। মাথাব্যথা নেই এমন লোক খুবই কম। মাথাব্যথা মূলত প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এই দুই ধরনের হয়ে থাকে। এই মাথাব্যথার মধ্যে সবচেয়ে যন্ত্রণা দায়ক হচ্ছে মাইগ্রেন।

আমাদের চারপাশে মাইগ্রেন ভোগা মানুষের সংখ্যা অধিক।

যে কাজগুলো করলে দূরে থাকবে মাইগ্রেনের ব্যথামাইগ্রেন অ্যাটাক হলে সাধারণত ৪ থেকে ৭১ ঘণ্টা ধরে মাথায় ব্যথা হতে থাকে। এ ব্যথার সঙ্গে আলো ও শব্দের সংবেদনশীলতার সম্পর্ক আছে। কাজেই মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে আলোহীন বা কম আলোময় ও শব্দহীন জায়গায় থাকতে পারলে আরাম পাওয়া যায়।

গবেষকেরা বলছেন, মস্তিষ্কে রাসায়নিকের ভারসাম্যহীনতার করণেই মাইগ্রেন অ্যাটাক হয়ে থাকে। আবার জেনেটিক বা বংশগত কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে।

এ ছাড়া আরও যে কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। 

অ্যাংজাইটি

নারীদের হরমোনের পরিবর্তন

অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বা বেশি ঘুম হওয়া

হঠাৎ আবহাওয়া ও পরিবেশগত পরিবর্তন হওয়া

প্রকট সুগন্ধি

অতিরিক্ত আলো অথবা ফ্ল্যাশ লাইট

অতিরিক্ত চা ও কফি

ধূমপান

সময়মতো খাবার না খাওয়া

প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া।

যে কাজগুলো করলে দূরে থাকবে মাইগ্রেনের ব্যথা

তবে প্রতিদিনের জীবনযাপনের সামান্য চেঞ্জ আনলেই মাইগ্রেনের সমস্যা দূরকরা সম্ভব। এরজন্য আপনাকে যা করতে হবে।

কিছুতেই সকালের নাস্তায় অবহেলা করা যাবেনা।

যে কাজগুলো করলে দূরে থাকবে মাইগ্রেনের ব্যথা

খাবারের তালিকায় প্রতিবেলা সুষম খাবার রাখতে হবে। কাঠবাদাম, কাঠবাদামের দুধ, পার্সলিপাতা, মৌরি, রসুন, আদা ও তাজা আনারস খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।

অ্যামাইনো অ্যাসিড টাইরামিনযুক্ত খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রসেস করা মাংস, মাখন, হার্ড চিজ, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার, এভোকাডো, কলা, বাঁধাকপি, বেগুন, আলু, টমেটো, রাসবেরি, চকলেট, রেড প্লাম, ইস্ট, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়।

নিয়ম করে প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে ।
প্রতিদিন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, রিবোফ্লোবিন (ভিটামিন বি২), নিয়াসিন (ভিটামিন বি৩), ভিটামিন বি৫ ও ভিটামিন বি৬ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।

অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার, ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার এবং অ্যাসিডিটি তৈরি হয়, সে রকম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ধারণা করা হয় যে অ্যাসিডিটির সঙ্গে মাইগ্রেনের ব্যথার সম্পর্ক আছে।

নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খেতে হবে যেমন

দুধ, দই, বিনস, ব্রকলি, তিসি, তিল, কমলালেবু, পেঁপে, পোস্তদানা, ব্রাজিল নাটস, সিলারি, টফু, পালং শাক, ঢ্যাঁড়স, কাঁটাসহ সব ধরনের ছোট মাছ, রুই, বাটা, ফলি, কাতলা, শিং, কাঁকড়া, মাগুর, সরপুঁটি, বোয়াল, কই ও মৃগেল মাছ।

ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

গাঢ় সবুজ শাকসবজি, বিনস, ব্রকলি, নাটস, হোল গ্রেইন, তিসি, তিল, কলা, সি ফুড, চিনাবাদাম, ওয়েস্টার, ঢেঁকিছাঁটা চাল, ভুট্টা, চিড়া, আটা, মুগডাল, মাষকলাইয়ের ডাল, ছোলার ডাল, পেঁয়াজকলি, মুলা, গুঁড়া দুধ, বরবটি, পানপাতা, কাজুবাদাম, নারকেল, পাকা আম, জিরা, আদা, চা, কফি, কোকো।

যে কাজগুলো করলে দূরে থাকবে মাইগ্রেনের ব্যথাভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ খাবার

দুধ, টুনা মাছ, ব্রকলি, কাঠবাদাম, ডিম, মাশরুম, সব ধরনের শাক, সব ধরনের ডাল, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, কলিজা ইত্যাদি।

ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার

দুধ, টুনা মাছ, স্যামন মাছ, ডিম, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, মুরগির কলিজা, গাজর, পালং শাক, শজনেপাতা, রসুন, সূর্যমুখী বীজ, মটরশুঁটি ইত্যাদি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply