fbpx

যে ২৪টি বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে দেশে বাধা নেই  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ক্লিনফিড (বিজ্ঞপানমুক্ত) দেওয়া বিদেশি ২৪টি চ্যানেল সম্প্রচারে বাংলাদেশে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।

এ সময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, সদস্য ইকবাল সোবাহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু ক্লিনফিড যে সমস্ত চ্যানেল দিচ্ছে না তাদের বিষয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয় এমন চ্যানেলের সংখ্যা গতকাল ১৭টি বলেছিলাম, সেখানে হবে ২৪টি চ্যানেল। এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।‘

ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশের চ্যানেলগুলো ভালো অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে এবং অনেকেই করে। অবশ্যই সব চ্যানেলের জন্যই আমাদের দ্বার উন্মুক্ত। কিন্তু আইন মেনে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সেই চ্যানেল সম্প্রচার হতে হবে।‘

বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশক ও ক্যাবল অপারেটরদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়, আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যরাও যদি এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।‘

সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো পাকিস্তানে, নেপালে, শ্রীলংকায় ক্লিনফিড পাঠায়। আর ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য যে বড় রকমের বিনিয়োগ ও কারিগরি সুবিধা লাগে এসব কথামালা বিভ্রান্তি  ছড়ানোর অপচেষ্টারই অংশ। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তিতে এগুলো সহজেই করা সম্ভব এবং সেটি সংশ্লিষ্ট চ্যানেল করতে পারে।’

তিনি বলেন,’ এই দায়িত্ব প্রথমত সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের, দ্বিতীয়ত যারা সেই চ্যানেল ডাউলিংক করার অনুমতি নিয়েছেন, তাদের। তারা ব্যবসা করার স্বার্থেই এই সমস্ত চ্যানেল ডাউনলিংক করার জন্য অনুমতি নিয়েছেন এবং লাইসেন্স দেয়ার সময় ক্লিনফিডের শর্তের কথা বলা আছে। ক্যাবল অপারেটরেরাও সেই শর্তের কথা মেনেই তারা লাইসেন্স নিয়েছেন। এবং এমন নয় যে, তারা ছাড়া আর বাংলাদেশে কেউ ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্স চায় না। আমাদের কাছে বহু ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্সের দরখাস্ত জমা পড়েছে। আমরা সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। সুতরাং আইন ভঙ্গ করলে, শর্তভঙ্গ করলে বা বিভ্রান্তি ছড়ালে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরবৃন্দসহ সবপক্ষকে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি পয়লা নভেম্বর থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমকে তারা ডিজিটালাইজ করবে। আমি আশা করবো এই সময়সীমা সবাই অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। আমি আশা করবো সবাই দেশের স্বার্থ এবং আইন মানাকে তুলে ধরবেন।’

যেসব বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে বাধা নেই:

বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র‌্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফোরইউ মিউজিক, এমটিভি, স্টার স্পোর্টস ১, স্টার স্পোর্টস ২, স্টার স্পোর্টস ৩ ও ৪।

Advertisement
Share.

Leave A Reply