গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের ৯০ শ্রমিক-কর্মচারীকে সম্প্রতি ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ।চিনি কলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা ।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুল কবিরকে তাঁর কার্যালয়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীরা।
এ সময় চিনিকলের অন্যান্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে আটকা পড়েন। এ খবরে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে অবস্থান নেয়।এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়লে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তেজিত শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাতে কাজ না হলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন
শ্রমিকনেতাদের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন । এরপরেই অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।
শ্রমিকনেতারা বলছেন, সকল নিয়মবিধি মেনেই প্রায় এক যুগ ধরে চাকরি করছেন শ্রমিকরা, একদিকে কাজ নেই, ঠিকমত মজুরি নেই, তারমধ্যে শুধু মাত্র মৌখিক নির্দেশে কারও চাকরি যেতে পারে না। এ ধরনের অন্যায় সিদ্ধান্ত শ্রমিকেরা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানায় ।
টানা পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করা শ্রমিকেরা হঠাৎ চাকরি হারানোর খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েন । অন্যদিকে, আখ বিক্রি করতে না পেরে অনেক জমির আখ শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। সময়মতো আখ কাটতে না পারায় ওই জমিতে অন্য ফসলও আবাদও করতে পারছেন না চাষিরা।
এ বিষয়ে রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল কবির বলেন, ‘আখমাড়াই বন্ধ হওয়ায় কারখানায় কোনো কাজ না থাকায় , ‘কাজ নেই, মজুরি নেই’–ভিত্তিক ৯০ জন শ্রমিককে প্রথম পর্যায়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে সদর দপ্তরে আলোচনার জন্য ঢাকায় যাবেন । আর সেখান থেকে অনুমতি পেলে তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ।