fbpx

রফতানিতে ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে নিকটবর্তী দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের মডেলের মিল রয়েছে। পাশাপাশি গত দশ বছরে রফতানি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে (ডব্লিউএসজে) বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রফতানিমুখী উন্নয়ন বর্তমানে কার্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একইসঙ্গে গত এক দশকে বাংলাদেশের রফতানির ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। সে তুলনায় ভারত ও পাকিস্তান রফতানিতে পিছিয়ে পড়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। এটি বাংলাদেশের বিরাট অর্জন।

দশ বছরে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এই খাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। সে তুলনায় ভারত ও পাকিস্তানের রফতানি তুলনামূলক কমেছে।

প্রতিবেদন বলছে, ২০১১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ভারতের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম। কিন্তু গেল বছর বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যায়। করোনা মহামারির কারণে ভারতের অর্থনীতিতে মন্দা দেখায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, এই ব্যবধান কম-বেশী এমনই থাকবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে বাংলাদেশকে আসিয়ান, রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) কিংবা কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স-প্যাসেফিক পার্টনারশিপের (সিপিটিপিপি) সঙ্গে বহুপাক্ষিক ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিশেষ নজর দিতে বলা হয়।

প্রতিবেদনে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলা হয়, উচ্চমূল্যের রফতানি পণ্য উৎপাদন এবং রফতানিই হবে বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply