fbpx

রমজানে ব্যস্ততা বেড়েছে মুড়ির গ্রামে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে মুড়ি ভাজার ব্যস্ততা বেড়েছে কুমিল্লার বরুড়ার লক্ষীপুর গ্রামে। শত বছর ধরে মুড়ি ভাজা হয় এ গ্রামে। হাতে ভাজা মুড়ির জন্য এ গ্রামের সুনাম রয়েছে।

এখানে নারীরা মাটির চুলায় মুড়ি ভাজে। আর পুরুষরা তা চালুনের মাধ্যমে পরিস্কার করে বস্তা বন্দি করেন। বর্তমানে লক্ষীপুর গ্রামের ৫০ পরিবার এ ব্যবসার সাথে জড়িত।

স্থানীয় মুড়ির ব্যবসায়ী প্রদীপ জানান, সারা বছরই মুড়ি ভাজেন তারা। হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদাও রয়েছে বেশ। শুধু লবণ পানি দিয়ে ভাজা এই মুড়ি খেতেও সুস্বাদু। সাধারণত বাজারে মানুষ হাতে ভাজা মুড়িই বেশি খোঁজ করেন।

একই গ্রামের আরেক ব্যবসায়ী হরি চরণ পাল জানান, গিগজ ও টাপি এ দুই রকমের চাল দিয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এই দুই ধরনের চাল লাকসামের বিজরা বাজার ও লালমাই উপজেলার বিজয়পুর বাজার থেকে সংগ্রহ করেন তারা।

গ্রামের ৫০ পরিবার প্রতিদিন প্রায় ৯০ বস্তা মুড়ি ভাজে প্রতি বস্তাায় ৪৫ কেজি মুড়ি থাকে। তারা পাইকারি প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা বিক্রি করেন। খুচরা বাজারে তা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এখনও মেশিনে তৈরি মুড়ির তুলনায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা বেশি বলে জানান স্থানীয়রা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply