fbpx

রাঙ্গাবালী দ্বীপে বিদ্যুতের আলো পৌঁছেছে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের ঘরে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বরিশালের পটুয়াখালী জেলার সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত রাঙ্গাবালী দ্বীপ। এখানের মানুষ সন্ধ্যা নামলেই হারিকেন-কুপির আলোয় রাত্রি যাপন করতো। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এই দ্বীপের মানুষের কাছে বিদ্যুতের আলো ছিল স্বপ্নের মতো।

তবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সম্প্রতি প্রায় সাড়ে ২৫ হাজারের বেশি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। ফলে ওই অঞ্চলের ১ লাখ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে।

পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান রাঙ্গাবালীর। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে আগুনমুখা, পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ ও পশ্চিমে রাবনাবাদ নদীবেষ্টিত এই উপজেলাটি। ২০১২ সালে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার পর এবং সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলাকে  বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনতে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহিনখালীতে ১০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। গলাচিপা নদী ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর (তেতিলিয়া নদী) দুইটি শাখার ৫ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার তলদেশ দিয়ে ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এই উপজেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়। সে লক্ষ্যে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এক হাজার ২৪১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের মাধ্যমে ১০৪টি গ্রামে ২৫ হাজার ৩৫৮ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৬০ কোটি টাকা।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রাঙ্গাবালী সাবজোন অফিসের অফিসার্স ইনচার্জ মো. তৌফিক ওমর বলেন, রাঙ্গাবালীতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে আটটি সাবস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ সংযোগ টানা হয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টম্বরে কাজ শুরু করে শেষ হয় গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়। এই লাইন টানতে ১৪ মাস সময় লেগেছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, এই এলাকায় বিদ্যুৎ আসবে এটি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি এখানকার মানুষ। এ উপজেলার একটা বিরাট অংশের মানুষ মৎস্যজীবী। মাছ সংরক্ষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো বরফ। এখন সেটি তাদের কাছে সহজলভ্য হয়ে গেছে। এর আগে বরফ আনতে গলাচিপা বা করাপাড়া উপজেলায় যেতে হতো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply