বিয়ের রাজকীয় আয়োজন। বর-কনে এসেছেন ঘোড়ার গাড়ি চড়ে। বাদ্য-বাজনা চলছে একটু জোরে-সোরেই। কেনই বা নয়? একটি বা দুটি জুটি তো নয়, বিয়ে হচ্ছে এক সাথে ১৭ জুটির। আনন্দটাও তাই ১৭ গুণ।
অপেক্ষা আর অনিশ্চয়তা। সব কিছু কাটিয়ে জীবন সঙ্গীকে পেয়ে তাদের মনে বইছে সুখের দোলা। রাজধানীর পান্থপথে, এতিম ও অসহায় পাত্র-পাত্রীর জন্য এই গণ বিয়ের আয়োজন করেছে ভোলা সমিতি।
এক কনে বলেন, ‘জীবনে নতুন সঙ্গী পেয়ে ভরসা লাগছে।’ কেউ বা, বলেন এক সাথে ১৭ কনের বিয়ে। এটা তাদের কাছে আরও বেশি আনন্দ দিয়েছে।’
বররাও মহা খুশি। অনেকেই জানান, এত সুন্দর আয়োজনে বিয়ে হবে এটা তারা ভাবতেও পারেনি। আবার তাদের নতুন সংসারের নিশ্চয়তার কথাও যে ভোলা সমিতি মাথায় রেখেছে এটা তাদের বাড়তি বড় পাওনা।
শুধু বিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ নয়। স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন,ডিনার সেট এক কথায় নতুন সংসারের খুঁটি-নাঁটি ছিল উপহার হিসেবে। ভাবা হয়েছে আর্থিক নিশ্চয়তার কথাও। তাই নগদ অর্থ ও ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মুকুল বলেন,’ সামাজিক ভাবে আমরা এই গরিব, এতিম ও অসহায় ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছি। আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের আর্থিক অনুদান, স্বর্ণ অলংকার, বিয়ের সব অনুষ্ঠান খরচ এবং কারও কারও ঘর-বাড়ি করে দেয়ারও ব্যবস্থা করছি।’
ভিন্নধর্মী এই আয়োজনের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিবিএস কেবলস।
বিবিএসগ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান বলেন, ভোলা সমিতি যখন যে উদ্যোগ নেয়, তার সাথে বিবিএস কেবলস সব সময় থাকার চেষ্টা করে। গত দুই তিন বছর ধরে গণ বিয়ের যোগ হয়েছে বিয়ে প্রকল্প। ভোলা জেলার যে সকল নিঃস্ব, যারা বিয়ের অনুষ্ঠানকে রাঙ্গিয়ে তুলতে পারে না, ভোলা সমিতি তাদের স্বপ্ন পূরণে সব সময় সাথে থাকে।’
উপস্থিত ছিলেন নাহি গ্রুপের এমডি মনিরা নোমান। তিনি বলেন,’ এই অনুষ্ঠানটা অসাধারণ। ভোলা সমিতি যে কাজটা করে সারা বাংলাদেশে এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
প্রায় এক হাজার অতিথি আর গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে, বিশেষ দিনটি যেন হয়ে উঠেছে আরও বিশেষ।
ভোলা সমিতির উদ্যোগে এর আগেও যাদের গণ বিয়ে হয়েছে,তাদের মধ্যেও কয়েকজন এসেছিলেন বিয়েছে। ছিলেন স্বজনরাও।
খাবার-সাজসজ্জা, কিছুতেই কমতি ছিল না। এখন শুধু চোখে চোখ রেখে ভালবাসার গল্প বোনার সময়!
https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/317717899984494