সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানে শিশুদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর এক প্রবন্ধে এই তথ্যের প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার বলে বাংলাদেশের এক জরিপে উঠে এসেছে।
যেখানে বলা হয়, শুধু রাজধানী ঢাকাতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯৫ জন শিশু। এই জরিপে ৪৭৯ জন শিশু অংশ নেয়, যাদের মধ্যে ৪৫৩ শিশুর লালায় নিকোটিন পাওয়া গেছে। এটি শিশু স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক নুরুন নাহার বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মায়ের শরীর থেকে নবজাতক শিশুর শরীরেও নিকোটিনের প্রভাবে নানান রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি রয়েই যায়। নিকোটিনের প্রভাব শিশুদের শরীরে ভীষণ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, নানান শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয় ছোট শরীর। আর একইসঙ্গে বড়দের দেখে অল্প বয়সেই নিজেরাই ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, যা আরও বেশি ভয়ংকর।’
বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও সম্প্রতি এ বিষয়ে এমটি গবেষণা প্রকাশ করেছে। ‘তামাকজনিত ব্যাধি ও অকালমৃত্যুর কারণে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ১৫ বছর বা তার কম বয়সী ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশু তামাকজনিত রোগে ভুগছে। এদের ৬১ হাজারেরও বেশি (১৪ শতাংশ) শিশু বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। তামাক ব্যবহার এবং পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বছরে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭১৮ জন।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) ২০০৫ এর সংশোধিত আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, জনপরিসর ও গণপরিবহনে ধূমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমনকি ধূমপান করলে নগদ অর্থ জরিমানার কথাও উল্লেখ আছে আইনে।