শীতের আগাম বার্তা দিতে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। মৌসুমী বায়ুও বিদায় নিয়েছে বেশ ক’দিন আগে। কার্তিক মাস শেষ হতে বাকি আরও ১৫ দিন। কিন্ত এর আগেই যেন প্রকৃতি বার্তা দিচ্ছে, শীত এসে গেছে। সূর্যের তাপে নেই সেই প্রখরতা। আর রাতের তাপমাত্রাও বেশ কম। দিনের দৈর্ঘ্য কমে গেছে। সবকিছু জানান দিচ্ছে, দরজায় কড়া নাড়ছে কুয়াশার চাদর মোড়ানো শীত।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ও উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে । রাজধানীতে সহসাই শীত আসছে না। আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশা থাকছে। সেই সঙ্গে বাতাসও বইছে। এ অবস্থাকে শীতের আগমন বলা যাবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে,সকালে কুয়াশা পড়লেও দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকছে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে গরম কিন্ত থাকছে। কিন্ত বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমতে শুরু করছে। বর্তমানে রাতের তাপমাত্রা ২১ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে তাই হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
সাধারণত তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শীত পড়েছে বলে মনে করা হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় রাতের তাপমাত্রা ১৫/১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে রাজধানীতে মধ্য নভেম্বরের আগে শীত পড়বে না বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, রাজধানীতে পুরোদমে শীত আসতে এখনও সময় লাগবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত শুরু হবে। তবে দেশের উত্তরবঙ্গের রংপুর ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এসব অঞ্চলে এবার তীব্র শীতের আশংকা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে এবং বর্ধিত পাঁচ দিনে তামপাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।