মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবার মাথায় হাত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমচাষীদের। আমের দাম নিয়ে হতাশায় পড়েছেন চাষীরা। আজ ১০ জুন বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বাজারে প্রতি মণ লাখনা আম বিক্রি হয়েছে ৬৫০থেকে ৭৫০ টাকায় বর্তমানে হিমসাগর ও লাখনা আমের কেনাবেচা চলছে।
এবার বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এই মৌসুমে আমের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী দাম না পাওয়ায় হতাশ চাষীরা। করোনার প্রভাবেই এবার এমনটা হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
বর্তমানে আড়তে প্রতি মণ হিমসাগর ও গোপালভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে। যা কিনা গত মৌসুমে বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় দরে। তবে এখন গোপালভোগ আম প্রায় শেষের দিকে। বাজারে আছে হিমসাগর ও লখনা আম।
আম চাষীরা বলছেন, গত মৌসুমে আঁচার ও জুস কোম্পানি প্রচুর পরিমাণে গুটি ও লখনা আম ক্রয় করেছে। কিন্তু এবার তাদের তেমন আম কিনতে দেখা যাচ্ছে না। করোনার প্রভাবে বাজারেও আমের ক্রেতা খুব কম।
এছাড়া চাষীরা জানান, ১০ মণ আম গাছ থেকে সংগ্রহ করতে ২ জন শ্রমিক লাগে, তাদের দিতে হয় ১ হাজার টাকা। এরপর আবার গাড়ি ভাড়া,আছে আড়ত খরচ সব মিলিয়ে এবার দুশ্চিন্তায় স্থানীয় চাষীরা।
তবে কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, হেক্টরপ্রতি ১৫ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে এবার আমের উৎপাদন গতবারের চেয়ে অনেক বেশি হবে। রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় আম চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় আম চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যেই এ উপজেলার আম যুক্তরাষ্ট্রে ৫ মেট্রিক টনের দুটি চালান গেছে।