রাজশাহী থেকে হঠাৎ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এ বাস ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, অনেক মানুষ বাস কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া কেউ বিকল্প পথে অন্য যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে রওয়ানা দিচ্ছেন। এতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ব্যয় হচ্ছে বেশি সময়। আছে পথে নিরাপত্তা ঝুঁকিও। যাত্রীরা বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিএনপি রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ ডেকেছে। অনেকে মনে করছেন, সে কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের দাবি, বাস চলাচল করলে হামলার আশঙ্কা আছে। তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা বাস চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরে তারা আবারও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যেহেতু মঙ্গলবার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। এর কারণে আমরা বিশৃঙ্খলা ও যানবাহনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছি। তাই সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ আছে।’
তবে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন দাবি করেন, বগুড়ায় তাদের এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি ও স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। এর ওপর সকাল থেকে হঠাৎই রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে পারে। এছাড়া আর কিছু না।’
এটি রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা বলেও দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।