fbpx

রানির স্মৃতি উজ্জ্বল রাখতে কমনওয়েলথের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কমনওয়েলথ থেকে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে যথাযথ কিছু করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কয়েক বছর ধরে ফোরামে তার নিবেদিত সেবা স্মরণে থাকে- এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে শেখ হাসিনার বাসভবনে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানীকে “মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব” হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং রানীর সাথে তার ব্যক্তিগত স্মৃতি স্মরণ করেছেন।
কমনওয়েলথ মহাসচিব কমনওয়েলথের প্রতি তার অঙ্গীকারের জন্য রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

কমনওয়েলথের নতুন প্রধান হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লস এই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।

চলতি বছরের জুনে রুয়ান্ডায় কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে মহাসচিব পদে প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন জানান।

আর মহাসচিব নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু উন্নয়ন, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করেন।

প্যাট্রিসিয়া কোভিড-১৯ মহামারী সফলভাবে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলি সেই সঙ্কটের সময় যথেষ্ঠ আরও ভাল করেছিল যেগুলির নেতৃত্বে মহিলারা রয়েছেন বা পরিচালনা প্রক্রিয়ায় মহিলারা সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কমনওয়েলথ পরিবারের নারী নেতৃত্ব তুলে ধরার বিষয়ে মহাসচিবের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দেন। তিনি আগামী বছর স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে “শান্তির বছর” এবং “যুব বছর” পালনের জন্য কমনওয়েলথের সাথে অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মহাসচিব প্রকৃতি সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের কাজের উল্লেখ করেন এবং কমনওয়েলথের “লিভিং ল্যান্ডস” উদ্যোগে নেতৃত্ব প্রদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। সংস্থার “ব্লু চার্টার” উদ্যোগের সাথে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সম্পৃক্ততার কথাও স্মরণ করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশের সক্রিয় পদচিহ্নের সাথে ব্যবসা ক্ষেত্রে সংযোগের উন্নয়নে কাজ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

সূত্র: বাসস 

Advertisement
Share.

Leave A Reply