ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে শস্যভর্তি প্রথম জাহাজটি লেবাননের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। সোমবার (১ আগস্ট) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজোনি নামে সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি রওনা হয়। জাহাজটির ধারনক্ষমতা ৩০ হাজার টন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘রাজোনি জাহাজটি ওডেসা বন্দর ছেড়ে লেবাননের ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ২ আগস্ট জাহাজটির ইস্তাম্বুলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ইস্তাম্বুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এর যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
ইউক্রেনের অবকাঠামোবিষয়ক মন্ত্রী ওলেকসান্দর কুবরাকোভের ভাষ্য অনুযায়ী, জাহাজটিতে ২৬ হাজার টন ভুট্টা আছে। বসফরাস প্রণালি এবং ওই অঞ্চলে জাহাজ চলাচলসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ইয়োরুক ইসিক বলেন, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ জাহাজটি বসফরাস প্রণালি মুখে পৌঁছাতে পারে।
গত ২২ জুলাই স্বাক্ষরিত শস্য চুক্তির আওতায় সামনে আরও কিছু শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে যাবে।
বিশ্বে মোট গম রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে হয়ে থাকে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণসাগরে শস্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এ সংকট মোকাবিলায় গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শস্য রপ্তানির এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে শুরু করে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ‘চরম খাদ্যসংকটে’ ভুগছে।
বিবিসি জানায়, শস্যবাহী জাহাজটি ওডেসা বন্দর ত্যাগ করার খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে চুক্তি কার্যকরে তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি।