মধ্য এপ্রিলে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। এই রোজার ইফতারে খেজুরের উপস্থিতি সবারই চাই। এ খাদ্য পণ্যসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, এ মাসে খেজুরের থাকে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদা পূরণে ইতিমধ্যে দেশে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছে সরকার। কিন্তু এর পরও খুচরা বাজারে বেড়েছে এর দাম। এ নিয়ে ক্রেতারা বিরক্ত। কম আয়ের মানুষের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে জানা গেছে, খুচরা বাজারে সাধারণ মানের প্রতি কেজি খেজুর ১৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যে দাম এক বছর আগের এ সময়ের তুলনায় ৪৪.৪৪ শতাংশ বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। এই চাহিদাকে কেন্দ্র করে অনেকেই খেজুরের দাম বাড়িয়ে দেন। এছাড়া অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী শুধু রোজার মাসে খেজুর বিক্রি করে। এদের কারণেও প্রতিবছরই বাজারে খেজুরের দাম বেড়ে যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি মানের ১০ কেজির খেজুরে কার্টন প্রতি ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। যার মধ্যে আছে তিউনেশিয়া-আলজেরিয়া থেকে আমদানি করা বড়ই, ধাবাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা নাগাল খেজুর। দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ইফতারে জাহেদি, বড়ই ও ধাবাস কিনে থাকে।
বাজারে এখন পাইকারীতে প্রতি কার্টন (১০ কেজি) বড়ই খেজুর ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।গেল সপ্তাহে যার দাম ছিল ১৩০০-১৩৫০ টাকা। নাগাল খেজুরের দাম ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কার্টন ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে কম দামে বিক্রি সায়ের খেজুর, যা এক হাজার টাকা কার্টন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এই খেজুর ৩০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে বাজারে যাতে নিম্নমানের খেজুর ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য এরই মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মনিটরিং শুরু করেছে বলে জানা গেছে।