fbpx

রোজা রেখেও করোনার সময়ে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলছে রমজান মাস। বিশেষ এই  মাসে মুসলমানরা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে থাকেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারও বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে থেকে রোজা পালন করতে হচ্ছে। এর নজির ইতিহাসে বিরল। কিন্ত পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছুই মানতে বাধ্য করে। সবচেয়ে বড় কথা, রোজা রেখে, নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রেখে করোনাকে রুখতে হবে আমাদেরই।

করোনার সময়ে, রোজা রেখে স্বাস্থ্য সচেতন থাকবেন কীভাবে?   

করোনা পরিস্থিতি যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে পাল্টে দিয়েছে, তেমনি এবারের রমজানে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ব্যায়াম অপরিহার্য। এখন যেহেতু করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে আপনি ব্যায়াম বা জগিং করার জন্য নিয়মিত বাইরে যেতে পারছেন না, তাই ঘরে বসেই আপনাকে ব্যায়াম করবে হবে। হতে পারে সেটা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ অথবা ইয়োগা।

রোজা রেখেও করোনার সময়ে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ব্যায়াম অপরিহার্য। ছবি : সংগৃহীত

এমনিতেই রোজা রাখার জন্য অনেকের এখন ব্যায়ামের সময়েরও পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা জগিং করে থাকেন তারা রোজার মাসে অলসতা করবেন না একদমই। আপনি বুঝতেই পারছেন, বিশ্বজুড়ে যে অতিমারী চলছে, এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে আগের চেয়ে বেশি ফিট হয়ে উঠতে হবে। তাই, অলসতার কোনো সুযোগই নেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দিন কোনো খাবার বা পানি না খেয়ে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু, এবারে রমজান হচ্ছে গরমের সময়ে, তাই এখানেও বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. রাঞ্জ সিং এর মতে, এ সময় তিনটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তা হলো, এই সময়ে খাবার ও পানির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করতে হবে এবং যতটা বেশি সময় সম্ভব বিশ্রামে থাকতে হবে। তাই বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য আজ রমজানে ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থ থাকার বিশেষ কিছু টিপস দেবো –

নিয়মিত হাঁটা :

রোজা রেখেও যারা হাঁটতে চান, তারা সকালের দিকে কিছুটা সময় হাঁটতে পারেন। তবে রোজা রেখে বিকেলে না হাঁটাই ভালো। ইফতারের পর ঘণ্টা খানেক হাঁটতে পারেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিকস আছে যাদের, তারা বিকেলে রোজা রেখে কখনোই হাঁটবেন না। এ সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।

নিয়মিত ব্যায়াম :

রোজা রেখে হালকা ব্যায়াম করা উচিত। খুব বেশি সময় ধরে এ সময় ব্যায়াম করবেন না। বেশি ব্যায়ামে ঘাম ঝরে পানির পিপাসা পেলে সারাদিন রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। আর ব্যায়ামের পর শরীরের ঘাম মুছে ঠাণ্ডা জায়গায় থাকবেন। যারা ব্যায়ামবিদ বা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করেন, তারা অনেকে ইফতারের পরপরই জিমে যেতে চান। কিন্তু, ইফতারের কমপক্ষে ১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় পর ব্যায়াম করা উচিত। সারাদিন রোজা রেখে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই ইফতারি করে কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

খাদ্যাভাস ঠিক রাখা :

রোজা রেখে যারা ব্যায়াম করতে চান, তাদের খাদ্য তালিকা থেকে অবশ্যই শর্করা জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরি -এই তিন সময়েই খাদ্য তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার রাখবেন। এ সময় দ্রুত ক্যালরি পাওয়া যায়, এমন জাতীয় খাবার খাবেন। বয়স, উচ্চতা ও ব্যায়ামের মাত্রা অনুসারে ক্যালরির পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। এ সময় রাতের বেলা পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 

মোট কথা, রমজানের এই মাসে নিজেদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে।

আগে শুধু রোজা রাখার জন্য আপনি আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন আনতেন। কিন্তু, এবারের রমজানে যুক্ত হয়েছে করোনার মত ভয়ঙ্কর এক ভাইরাস। তাই, এবারের রমজানে আপনাকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখতে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply