fbpx

রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ ও জাপান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ ও জাপান উভয় দেশই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়।

জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রেসিডেন্ট তানাকা আকিহিতো রবিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দু’দেশের এই প্রত্যাশার কথা উঠে আসে।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে এবং তারা এখন আমাদের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে।’

জবাবে জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো বলেন, তাঁরাও রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন চান। তিনি বলেন, ‘জাপান রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় এবং তাঁরা (জাপান) এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করছে।’

বাংলাদেশ ও জাপানের উভয় নেতাই দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

জাপানের নেতা ও জাইকা প্রেসিডেন্ট নিজস্ব অর্থায়নে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সেতুটি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু ও যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলকে দেশের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের তিনটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, মহেশখালীতে কয়লাচালিত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল এবং ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশেষভাবে সহায়ক হবে।

জবাবে, জাইকা তিনটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সর্বাত্মক সহায়তার প্রশংসা করে।

জাপানের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তোরণেরও প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশি ও জাপানি উভয় নেতৃবৃন্দই ২০১৪ সালে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশে সফরের কথা স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা শিনজো আবের হত্যাকান্ডের নিন্দা করেন এবং তাঁকে বাংলাদেশের একজন মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করেন।

তথ্যসূত্র: বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply