করোনা টিকার প্রথম ডোজ টিকা যে কেন্দ্র থেকে নেওয়া হয়েছে একই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। লকডাউনের কারণে টিকাদান কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না বলেও জানিয়েছে তারা। তবে সরকারি কর্মজীবী যারা তাদের কর্মস্থান পরিবর্তন করেছেন, তাদের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তবে লকডাউনে যদি কারো টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে সমস্যা হয়, তাহলে তারা ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন বলে জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ সপ্তাহ হয়েছে, তাদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১২ সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় টিকা নিলেই হবে। আর কোনো কারণে যদি লকডাউনের সময় বেড়ে যায়, তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে হবে। এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থার বিষয়েও আমরা সজাগ রয়েছি।’
করোনা থেকে নেগেটিভ হওয়ার ২৮ দিন পর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়া যাবে বলেও জানান ফ্লোরা। বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরার্মশ অনুযায়ী, অতিরিক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে সাবধানতা হিসেবে ২৮ দিন পর, অর্থাৎ চার সপ্তাহ পর টিকা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বিষয়টি টিকার দুইটি ডোজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলেও জানান তিনি।
টিকা প্রাপ্তির সনদের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার উপ-পরিচালক ডা. আশরাফি বলেন, ‘সার্টিফিকট নিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে । আরও এক সপ্তাহ পরে সিস্টেমে এটা অনবোর্ড হবে। তখন সবাইকে জানানো হলে তারা টিকা সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।’