fbpx

লকডাউনের ঘোষণায় বাজারে ভিড়, দুশ্চিন্তায় নিম্নবিত্তরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামী ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সাত দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এরই প্রভাব পড়েছে দেশের কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানগুলোতে। রাজধানীর মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। কেউবা আবার আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত জিনিস কিনে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।

শনিবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী লকডাউনের ঘোষণা দেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এরপর থেকেই বাজারে ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল, হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় পণ্য—চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন। আবার নগরীর শপিংমলগুলোতেও লোকজনের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লকডাউনের খবরে ঈদের কেনাকাটাও সেরেছেন কেউ কেউ।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি পেলে চাল-ডাল ও তেলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। এ কারণে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য একটু বেশি করে কিনে রাখছেন তারা। কেউবা আবার রোজার বাজার করতে এসেছেন। তবে সবার চোখে মুখেই ছিল এক ধরনের শঙ্কা।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়। তখন সাধারণ ছুটির আগে বাজারে অনেক ভিড় হয়েছিল। বাড়তি দামে বিক্রি হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। আর এ বছর চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগে থেকেই চড়া।

তবে ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ইত্যাদির সরবরাহে ঘাটতি নেই। তারা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।

লকডাউনের খবরে দেশে একদিকে যখন মানুষ সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ব্যস্ত, ঠিক অন্যদিকে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কীভাবে তারা তাদের সংসার চালাবে, তা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অনেকে আবার বলছেন, কাজ না থাকলে হয়তো না খেয়েই থাকতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply