fbpx

লকডাউনের ঘোষণায় বাস, লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া  ঢল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর সায়েদাবাদ, কল্যাণপুর, গাবতলীসহ সকল বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বলেছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার থেকে সারা দেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে ঘোষণা দেন। এরপরই  রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফিরে যেতে ভিড় বাড়তে থাকে ঢাকার বিভিন্ন বাস কাউন্টার, রেল স্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালে।

শনিবার বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারগুলো যাত্রীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্ত কাউকে তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায় নি।

কাউন্টার সংশ্লিষ্টরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে লকডাউন ঘোষণা আসার পর থেকেই প্রতিটি বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কাউন্টারে মানুষের ভিড় শামাল দিতে তাদের নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে।

কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে এক যাত্রী বলেন, লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাড়ি যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে এসেছি।

আরেক এক যাত্রী বলেন, সোমবার থেকে লকডাউনের খবর শুনেই বাস টার্মিনালে ছুটে এসেছি। রাতের বাসে টিকিট কেটে সপরিবারে বাড়ি চলে যাচ্ছি।

তবে এসময় যাত্রীরা অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

একই অবস্থা লঞ্চ ঘাটেও। সেখানে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ঢল দেখা যায়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন সাধারণ মানুষ।

লঞ্চগুলোর ডেকে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া আদায় কথা থাকলেও, বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় চলাচলরত লঞ্চগুলো সেই নির্দেশনা মানেনি। সেখানে কোনো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ঈদের মতো গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এছাড়া বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply