শুক্রবার, বৃষ্টি এবং লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাস্তায় কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তবে সারাদিন ধরে বৃষ্টি থাকায় ঘর থেকে বের হননি কেউই। খুব প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে মুখোমুখি হতে হয়েছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে।
তবে বৃষ্টি, লকডাউন সব উপেক্ষা করে বেলা ১২ টা বাজতেই জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে ছুটেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। মাস্ক পড়া, জায়গা নিয়ে কাতার করা, এমনকি দুরত্ব বজায় রাখতে মসজিদের পাশাপাশি অনেকেই দাঁড়িয়েছেন রাস্তার ওপরেও।
মুসুল্লিরা জনান, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নামাজ পড়েছেন তারা। সামাজিক দুরত্ব মেনেই দাঁড়িয়েছেন নামাজে।
এদিকে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর সড়কগুলো ছিলো একেবারেই গাড়ি শূণ্য। গাড়ি নেই, মানুষ নেই, কয়েকটি চেকপোস্টে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকেই।
শুক্রবার, লকডাউন, তার উপর বৃষ্টি, ঘরেই থেকেছেন সবাই। তাই রিক্সাচালকেরা বেকার বসে আজ সারাদিন। সারাদিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার করেছেন। তাতে তাদের সংসার চালানো কঠিন বলে জানিয়েছেন রিক্সাচালকেরা।
বিকেলে আবারও নামে ঝরঝর বৃষ্টি। তার মাঝে সড়কে চলাচল করেছে অল্প কিছু যান। তবে বিকেলের বৃষ্টির মধ্যেও সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল।
লকডাউনের প্রথমদিন মানুষ ও যান চলাচলের উপর কড়াকড়ি নজর থাকায়, দ্বিতীয়দিন সবাই সচেতন। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি কেউ। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই, তাই প্রথমদিনের কড়াকড়ি থাকতে হবে পরবর্তী দিনগুলোতেও এমনটাই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।