ছোট্টবেলায় খেলাধুলার ফাঁকে একটু আধটু যখন টেলিভিশন দেখার সুযোগ মিলতো, কার্টুন দেখার লোভ কোনোভাবেই সামলানো যেতো না। আর মিকি-মিনির নানা উদ্ভট কাণ্ড তো ভোলারই কথা নয়। দুষ্টু-মিষ্টি এই কার্টুন জুটির মজার সব কাণ্ড এখনও সবার মনে দাগ কেটে আছে।
দুষ্টু মিকির সঙ্গে পর্দায় হাজির হতো মিষ্টি মিনি মাউস। দুই ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার মিনির পরনে থাকতো লাল পলকা ডটের ফ্রক। ছোট-বড় সবার মনে ওয়াল্ড ডিজনির এই কালজয়ী চরিত্র এখনও বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।
১৯২৮ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল জনপ্রিয় মিনি মাউসের। তবে নয় দশক পরে এসে হঠাৎ করেই মিনি মাউসের সেই পরিচিত পোশাকে এসেছে পরিবর্তন। লাল ফ্রকের বদলে প্যান্ট-স্যুটে সেজে হাজির হয়েছে মিনি। তার নতুন এই পোশাক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও হয়েছে।
কেনো হুট করেই পোশাক বদলালো মিনি? টুইটে এ খবর শেয়ার হওয়ার পর সবার মনেই এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। কেনো ওয়াল্ড ডিজনির এই পরিবর্তন? কেন জনপ্রিয় কার্টুনের পোশাক এভাবে পাল্টে ফেলা হলো? সেই উত্তরও মিলেছে।
প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড রিসর্টের ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার জেরেই বদলে গেল মিনি মাউসের পোশাক। তবে এটি সাময়িকভাবেই করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিনি মাউসের এই প্যান্ট-স্যুট তৈরি করেছেন ব্রিটেনের ডিজাইনার স্টেলা ম্যাকার্টনি। আইকনিক কার্টুন চরিত্রের জন্য পোশাক তৈরি করতে পেরে রীতিমতো আপ্লুত তিনি।
স্টেলা নীল রঙের প্যান্ট-স্যুটে সাজিয়েছেন মিনি মাউসকে। এতে আছে কালো ডট। মাথায় নীল রঙের বো-ও দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তনশীল চিন্তাধারাকে মাথায় রেখেই মিনি মাউসকে এভাবে সাজানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আসন্ন ‘উইমেন’স হিস্ট্রি মান্থ’ অর্থাৎ মার্চ মাসকে সেলিব্রেট করতে চেয়েছেন তিনি। নারীত্বের এই মাসকে উদ্যাপন করার এর থেকে ভালো আর কোনো কিছু হতে পারে না বলেই মনে করেন এই নকশাকার।
অনেকেই মিনির এই নতুন রূপ দেখে প্রশংসায় ভাসছেন। আবার অনেকে সমালোচনাও করেছেন। তবে স্টেলা জানিয়েছে, ‘মিনি অত্যন্ত সৎ, সরল, হাসিখুশি একটা চরিত্র। ছোট থেকে বড় সব মানুষকে এটা অনুপ্রেরণা দেয়। আর এটা আমার খুবই ভালো লাগে। পাশাপাশি মিনি মাউসের স্টাইলও খুব ভালো।’
তবে যে যাই বলুক না কেনো, আপনার কাছে ছোট্ট মিনির পরিবর্তিত এই পোশাক কেমন লাগছে, সেটি কিন্ত জানাতে ভুলবেন না।
https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/358841305739524
