fbpx

অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রেখেই পালালেন বাবা ও সৎমা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে হামজালা (৫) নামের শিশুটির লাশ ফেলে বাবা জুয়েল মোল্লা ও সৎমা শাহানা বেগম পালিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। সৎমার নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির মা ফাতেমা বেগম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে জুয়েল মোল্লা ও ফাতেমা বেগমের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর জুয়েল বিয়ে করেন শাহানা বেগমকে। বিচ্ছেদের পর তাদের একমাত্র সন্তান হামজালা ফাতেমা বেগমের মা অর্থাৎ তার নানির কাছে থাকতো। ২৯শে মার্চ শবে বরাতের রাতে তাকে নিজের কাছে এনে রাখেন জুয়েল মোল্লা।

বুধবার রাতে হামজালা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসক মনিরুজ্জামান শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হামজালার।

সেদিন রাতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে  হাসপাতাল থেকে শিশুর লাশ নিয়ে রওনা হয় বাবা ও  সৎমা। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে সন্তানের লাশ রেখেই পালিয়ে যায় বাবা ও সৎমা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদস হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

এদিকে স্থানীয় চিকিৎসক মনিরুজ্জামান (বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা) জানিয়েছেন, ‘বুধবার রাতে হামজালাকে আমার কাছে অজ্ঞান অবস্থায় আনা হয়। শিশুটির বাবার দাবি, খেলতে গিয়ে পড়ে ব্যাথা পেয়েছে হামজালা। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলি। শিশুটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।‘

এদিকে হামজালার মা ফাতেমা বেগম জানান, সৎমা মারধরের কারণে মৃত্যু হয়েছে হামজালার।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply