fbpx

শবে বরাতের আগেই লাগামহীন দেশের কাঁচাবাজার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শবে বরাতকে কেন্দ্র করে লাগামহীন হয়ে পড়েছে দেশের কাঁচাবাজার। আর এর সুযোগ নিচ্ছেন মুনাফালোভী মধ্যস্বত্বভোগীরা।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) দেশের বাজারে নতুন করে বেড়েছে খোলা সয়াবিন, আটা, ময়দা, ব্রয়লার মুরগি, গুড়া দুধ, চিনিসহ আরও কিছু পণ্যের দাম।

সরকারের বিপণন সংস্থা (টিসিবি) বলছে, এক মাস ধরে বাজারে অন্তত ১২ টি পণ্যের দাম বেড়েছে। এগুলো হলো- সয়াবিন, চিনি, মশুর ডাল, মুগডাল, পেঁয়াজ, আটা, ময়দা, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, গুড়া দুধ, হলুদ, আদা, জিরা।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গেল এক মাসে আটার দাম বেড়েছে ১. ৪৭ শতাংশ, খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৫.১৫ শতাংশ, খোলা পামওয়েলের দাম ৭.৯২ শতাংশ, পামওয়েল সুপারের দাম ৮.৭০ শতাংশ।

পাশাপাশি এক মাসে মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ। এক মাস আগে যেখানে ৯৫ টাকা কেজিতে মসুরের ডাল বিক্রি হয়েছে, এখন সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর ১২০ টাকা কেজি মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এছাড়া ১৪০ টাকা কেজি দেশি হলুদের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা, ২৮০ টাকা কেজি জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা দরে।

শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে এক থেকে দুই টাকা। ৫ লিটার বোতলের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। এক লিটার বোতলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা।

একইসঙ্গে প্যাকেট আটার দাম কেজিতে দুই টাকা, খোলা ময়দার দাম কেজিতে দুই টাকা, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা এবং চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা।

একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার ও লাল লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আর কক মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। আর কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকায়।

তবে কমেছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ২০ টাকা কমে বাজারে এখন ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকায়। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর জিরা পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিতে।

তবে  সবজির বাজারও চড়া। বাজারে এখন পটল ও ঢেঁড়সের কেজি ৫০-৬০ টাকা, শিমের কেজি ৩০-৪০ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০-৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০-৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ২০-৩০ টাকা, ফুলকপি ও  বাঁধাকপির পিস ২০-৩০ টাকা, লাউ ৪০-৬০ টাকা পিস, বরবটির কেজি ৬০-৭০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০ টাকা কেজি, শশার কেজি ৫০ টাকা আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৫ টাকায়।

ক্রেতাদের অভিযোগ, পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে মুনাফালোভীরা এই পণ্যগুলোর দাম পরিকল্পিতভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। পণ্যের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে সীমিত আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।

তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্যের ঘাটতি ও আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply