অনশন ভাঙার পর এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখার কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলেন, ‘ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী টানা ১৬৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিট যাবত অনশনরত থাকার পর অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার ও ড. ইয়াসমিন হক ম্যামের অনুরোধে অনশন থেকে সরে আসা হয়েছে। আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসার মূল কারণ ছিল আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেওয়া হবে এই আশ্বাস। তবে সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এটিও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি যে, আপাতত অনশন থেকে সরে আসা হলেও ভিসির পদত্যাগের আগ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।‘
আমাদের ৫ দাবির মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫ সাবেক শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যের মদদে সংঘটিত পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দিয়েছে বলে জানান রাজ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল দাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনকে প্রত্যাহার এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টোরিয়াল বডির অপসারণের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জাফর স্যার ও ইয়াসমিন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই দাবি পূরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল রেখেছে। সেগুলোও পুরোদমে চালু হবে বলে জানিয়েছেন।
রাজ বলেন,উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তার বাসার সামনে যে মানব প্রাচীর আছে, তা তুলে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে হলের কয়েক শ’ ছাত্রী এই আন্দোলন শুরু করেন। এরপর থেকে সেই আন্দোলন বড় আকার ধারণ করে।