fbpx

শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথমে চার মাসের বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম আগামী বছর থেকে চালু হলেও শুরুতেই শিক্ষার্থীদের সারা বছরের বই দেওয়া হবে না। কেবল প্রথম চার মাসের বই তাদেরকে দেওয়া হবে। আর এর প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করেই প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে ২০২৩ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট সবার ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হবে।

আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ‘পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ট্রাই আউট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট একাডেমিক সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফ্‌ফর আহমদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকার প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০০টি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে তা চালু হবে। পরের বছর থেকে তা পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিখনকালীন (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রমের সময়) সারা বছর ধরে মূল্যায়ন করা হবে। বছর শেষেও মূল্যায়ন হবে। তবে সেটাই সব নয়। সনদ দরকার আছে, কিন্তু সনদই সবকিছু নয়।

নতুন শিক্ষাক্রমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে দীপু মনি বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক শিখন নিশ্চিত করা, শিখনকালীন মূল্যায়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া, নম্বরভিত্তিক সনদের পরিবর্তে পারদর্শিতার রেকর্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করা, মুখস্থনির্ভর জ্ঞানের পরিবর্তে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনে অনুপ্রাণিত করা ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান। আর এতে সভাপতিত্ব করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply