পা ফাটা ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে না। বরং ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন ই–এর ঘাটতি, অতিরিক্ত ওজন, খোলা জুতা ব্যবহার, শুষ্ক ত্বক, একজিমার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। মাসে একবার পেডিকিওর করা ও ঘরে সাধারণ যত্নে পা ফাটার সমাধান সম্ভব।
অতিরিক্ত পা ফাটা কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। মোজা পরে নিন। এতে পায়ের ত্বক আর্দ্রতা পাবে। তবে দিনের বেলায় এটা ব্যবহার করা যাবে না।
পা ফাটা কমাতে, একটি গামলায় কুসুম গরম পানি নিন। আধা কাপ কাঁচা দুধ, এক মুঠো গোলাপের পাপড়ি, ২–৩টি নিমপাতা, ১ ফোঁটা এসেন্স অয়েল ও ২–৩ ফোঁটা জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট পর পা স্ক্রাব করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে ফেলুন।
পায়ের শুষ্কতা কমাতে সারা দিনে ব্যবহারের জন্য তেলের প্যাক ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে। বাদামের তেল ১ চা-চামচ, জলপাই তেল ১ চা-চামচ ও ক্যাস্টর অয়েল ১ চা-চামচ মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে মালিশ করুন। সারা দিন অল্প অল্প করে এই তেলের প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
১টি ছোট কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে তাতে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে পায়ে ব্যবহার করুন। পায়ের গোড়ালিতে মালিশ করতে করতে শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই প্যাক উপকারী। শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে অন্তত একদিন পায়ে স্ক্রাবিং করুন। এতে ত্বক নরম ও সুন্দর থাকবে। স্ক্রাবিং এর পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
এভাবে নিয়মিত যত্ন নিন পায়ের, দেখবেন এই শীতেও আপনার পা থকবে নরম, কোমল, সুন্দর।