fbpx

শুটিংয়ে যাওয়ার পথে প্রাণ হারালেন রাহাত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০ জানুয়ারি সকালে চলচ্চিত্রের শুটিং স্পটে যাওয়ার জন্য নিজেই বাইক চালিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসছিলেন চিত্রগ্রাহক অনিমেষ রাহাত।

কিন্তু গাজীপুরের চান্দরায় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। বাস আর ট্রাকের মাঝখানে পড়ে প্রাণ যায় তার।

রাহাতের লাশ পরে শালনা হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অনিমেষের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কাজীপুরা গ্রামে তাঁকে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতেে শোক প্রকাশ করে নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল লিখেছেন, ‘রাহাত আর দেখা হবে না তোমার সাথে ,গত ৯ আর ১০ তারিখ এফডিসিতে ৯ নাম্বার ফ্লোরে কী পরিশ্রম করে ‘গাংচিল’ এর শুটিং করলা .আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত নসীব করুক আমিন।’

চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান লিখেন, ‘ঝরে গেলো আরো একটি উত্তাল তারুণ্য। অসম্ভব ভদ্র এই ছেলেটি কঠিন পরিশ্রম করে নিজের চেষ্টায় camera assistant থেকে steadicam operator হয়েছিলো। কিছুদিন আগে এসেছিলো দেখা করতে। ওর demo reel এবং steadicam দেখাতে। আমাকে এই করোনাকালেও কতবার ফোন দিয়েছে, তার নানা স্বপ্ন ও ইচ্ছার কথা শোনাতে।
ট্রাফিক নিয়ম নীতিহীন, জনাকীর্ন রাস্তায় বেপড়োয়া ট্রাক বাসের দেশে – অপ্রতুল মহাসড়কে “মোটরসাইকেল” একটি মরনঘাতী যানবাহনের নাম। সবাইকে আরো সাবধান হবার বিনীত অনুরোধ করছি। স্বপ্নবাজ রাহাত, সংগ্রামী রাহাত –
তার পরিবারের, বন্ধুদের, সহকর্মীদের, আমাদের সবার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। প্রতারকদের এই ভূঁয়া মিডিয়া জগতে গত পন্চাশ বছরে আমরা সবে মাত্র দুজন কঠোর পরিশ্রমী পেশাদার steadicam operator তৈরি করতে পেরেছিলাম।
আমি গত একযুগ যাবত Sandbag নামক একটি জায়গায় দিনরাত কাটাই এই স্বপ্নবাজ অদম্য তরুণগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখবার জন্য, জানবার জন্য। অনেক বড় ক্ষতি হলো আমার। আরো কত লক্ষ শট নেয়া বাকী ছিলো রাহাতের।
ওর বেড়ে ওঠা ‘প্রাণ’ কোম্পানীর ক্যামেরার দলে। রাহাতের সকল সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা রইলো।
আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, ‘রাহাত..রাহাত রে…
স্টেডিক্যামের অপারেটর রাহাত আজকে মোটর সাইকেল এক্সিডেন্টে মারা গেল। গত ৩ দিন আগে কাজ হলো ‘মুক্তি’ তে তার ৩ দিন আগে ‘গাংচিল’ এ। এ মুহূর্তে স্টেডিক্যামে ওর বিকল্প আছে কিনা জানা নাই। এত ভদ্র, এত অমায়িক… একটা ছেলে। আল্লাহ, আর তো নিতে পারিনা….আর কত? কত? ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।’

অভিনেতা মুকুল সিরাজ লিখেছেন, ‘প্রীতিলতা’ মুভিটির কাজ করার সময় তার সাথে আমার দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছিলো। তারপর দেখা হলো করোনা’র একটা কাজ করার সময় মানিকগঞ্জ। আমি দুদিন-ই তার গায়ে হাত দিয়ে বলেছি “এত ভারী ক্যামেরা ক্যামনে এতক্ষণ চালান আপনি?’ সুন্দর হাসির সাথে উত্তর হতো “অভ্যাস, বড়ভাই অভ্যাস”।
সকালে তার চলে যাবার খবরটা আমাকে নিস্তেজ করে দিচ্ছে, এভাবেও চলে যায় কেউ? ভালোবাসি Animesh Rahat. যেখানেই থাকুন ভালো থাকবেন, অবশ্যই ভালো থাকবেন।’

সম্প্রতি প্রীতিলতা, মুক্তি, গাংচিল এবং মুখোশ নামের চলচ্চিত্রগুলোতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply