fbpx

শুধু পদ্মা পাড়েই না, উৎসব হবে সারাদেশে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই উৎসবে তাই শুধু পদ্মা পাড়ের মানুষ নয়, গোটা দেশের মানুষের মাঝে উৎসব মুখরতা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে রংপুরে পল্লী জনপদ এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির (বাপার্ড) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তবে এ দিন আনন্দ করতে গিয়ে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, দক্ষিণাঞ্চলবাসীসহ সবার প্রতি সেদিকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উৎসবটা শুধু পদ্মা পাড়ে হবে না, সারা বাংলাদেশে এই উৎসবটা করবেন। আমি চাচ্ছি, বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় জেলায় উৎসব হোক। কারণ এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী অ্যামাজন এবং তারপরে হচ্ছে পদ্মা। এই নদীতে আমরা যে একটা সেতু করতে পারি, এটা অনেকেরই ধারণা ছিল না। তার ওপর এই সেতুটা হচ্ছে দ্বিতল সেতু। নিচে দিয়ে ট্রেন যাবে উপর দিয়ে গাড়ি যাবে। এটা একটা কঠিন কাজ। পৃথিবীতে এই ধরনের কাজ বোধহয় এটাই প্রথম। এখানে যে সমস্ত মেশিনারিজ ব্যবহার করা হয়, সবগুলো, এটা বোধহয় আর কোথাও এভাবে হয়নি। এটার যে বাধাটা ছিল সেটাও আপনারা জানেন।’

তবে উৎসবের রঙ যাতে ফিকে না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী ২৫ তারিখে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। সেখানে আমি সবাইকে একটু অনুরোধ করব, সবাই একটু ধৈর্য্য ধরে, কোন প্রতিযোগিতায় না গিয়ে বা গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতা, কে আগে গেল, পরে গেল এসব করবেন না। অর্থাৎ কোনো ধরনের কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন সবাই।’

বঙ্গবন্ধুতনয়া বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়ে গেছে। যে দক্ষিণাঞ্চল সারা জীবন অবহেলিত, আর অবহেলিত থাকবে না। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি একটা জায়গায় হয়, তাহলে সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই উন্নত হয়। সেটা হলো বাস্তবতা। আর আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, পদ্মা পাড়ের মানুষ সবসময় অবহেলিত ছিলাম। দারিদ্র্য আমাদের নিত্যসঙ্গী। আল্লাহর রহমতে আর সেটা থাকবে না।’

দুর্নীতিচেষ্টার মিথ্যে অভিযোগ এনে অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে গেলেও দেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অভূতপূর্ব সাড়া ছিল বলেই সব বাধা পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে দৃঢ়তা দেখানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হারিয়ে ক্ষুব্ধ নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের তদবিরের কারণেই দুর্নীতিচেষ্টার মিথ্যে অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়িয়েছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগ হওয়ায় মানুষের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব হয়েছে। যে কারণে আমাদের উন্নয়নগুলো আজ দৃশ্যমান হচ্ছে। আর মানুষ তার সুফলটা পাচ্ছে।’

দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে চাষযোগ্য জমি রক্ষা করতে হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেজন্য আমরা সারা বাংলাদেশে একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। যত্রতত্র যেখানে সেখানে কেউ শিল্প গড়ে তুলতে পারবে না।’

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বরাবরই অবহেলিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই অঞ্চলের মানুষকে যাতে ট্রেনিং দেয়া যায় দারিদ্র্য বিমোচন কমপ্লেক্স ভবন আমরা প্রথমে কোটালীপাড়ায় গড়ে তুলি। সেটাই পর্যায়ক্রমিকভাবে আজকে উন্নত হয়ে এখন একটা অ্যাকাডেমিতে উন্নীত হয়েছে।’

রংপুরের পল্লী জনপদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে মাত্র ৩০ পার্সেন্ট টাকা দিয়ে একটা ফ্ল্যাটের মালিক হবে। আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে ১৫ বছরে বাকি টাকাটা দেবে। এর মধ্য দিয়ে নিজস্ব একটা থাকার জায়গা তার হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে প্রথমে একটা করে করা হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী এটা আরও বাড়ানো হবে। যাতে মানুষ সম্পূর্ণ শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply