বিউগলের করুণসুরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস’। ৩১ ডিসিপ্লিনে অংশ নেওয়া সাড়ে পাঁচ হাজার ক্রীড়াবিদের এই মিলনমেলার মশাল নিভে যাওয়ার পর আতশবাজির মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজনটি। গত ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে ১০ দিনব্যাপী আয়োজিত বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল জ্বালিয়েছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাত ৮টার কিছু আগে ‘সমাপনী’ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন খুব সীমিত আকারে করে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পরবর্তীতে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর একে একে বড় স্ক্রীনে দেখানো হয় টুঙ্গিপাড়া থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পর্যন্ত মশাল যাত্রার চিত্র, এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্বোধনী বক্তব্য রেখেছিলেন তাও দেখানো হয়। পাশাপাশি, বিভিন্ন গেমসে অংশ নেওয়া ক্রীড়াবিদদের ক্রীড়াশৈলীর বিভিন্ন খণ্ডচিত্রও উপস্থাপন করা হয়। এরপর আয়োজন করা হয় লেজার শো’র। রাত পৌনে ৮টায় বিউগলের করুণ সুরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মশাল নিভে যাওয়ার পর আতশবাজির আলোয় আকাশকে আলোকিত করে শেষ হয় ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস’।
সমাপণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরো উপস্থিত ছিলেন, বিওএ সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিওএ সহ-সভাপতি ও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।