দেশের শেয়ারবাজারে ফের কালো মেঘের ছায়া নেমে এসেছে। সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে রবিবার (২১ মার্চ) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হয়েছে। গেল সপ্তাহে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেছে। সে হিসেবে বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ার বাজার। এই টানা ধসের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
দিনের শুরুতেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই পতন আরও বাড়তে থাকে। দিনশেষে ডিএসই প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারায়।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যাওয়ায় এ দিন ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়ায়। গেল বৃহস্পতিবার যার পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়।
এদিন লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। আর দাম কমেছে ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এবং ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। পুঁজিবাজারে এদিন লেনদেন হয়েছে ৬১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ফলে আগের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৬৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ারের সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে। তারা ৮৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে রবি। প্রতিষ্ঠানটি ৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন করেছে। আর বেক্সিমকো ফার্মা ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাকি শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, রহিম ফুডস, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং ওয়ালটন।
অন্যদিকে দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে ২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া লেনদেনে অংশ নিয়ে ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৭টির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৪৮টির।