দীর্ঘ ১৫ মাস অপেক্ষার পর অবশেষে দেশের শেয়ারবাজার থেকে চিরতরে বিদায় নিল ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের বেধে দেওয়া সর্বনিম্ন দাম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আজ রবিবার (২০ জুন) থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে জানায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত বছরের ১৯ মার্চ পুঁজিবাজারে সর্বনিম্ন পতন ঠেকাতে এই ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়। যেখানে বলা হয়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ওই বেধে দেওয়া সীমার নিচে কোনো শেয়ার নামতে পারবে না। বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন গত বছর এভাবেই শেয়ারবাজারকে পতন থেকে রক্ষা করে।
এই ফ্লোর প্রাইস আরোপের আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে নেমেছিল। আর ২৫ মার্চ এই সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার পয়েন্টে।
অন্যদিকে সরকার করোনার কারণে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। যার প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারেও। নেতৃত্বেও আসে রদবদল। বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুনরায় শেয়ারবাজারে লেনদেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ফলস্বরূপ টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে আবারও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
নতুন করে সব কিছু চালু হওয়ার পর জুলাই থেকে শেয়ারবাজারে চাঙাভাবও দেখা যায়। যেখানে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৪ হাজার থেকে বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে পৌঁছায়। এমন পরিস্থিতিতে বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল ৬৬ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। আর ৩ জুন আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। আর এখন সব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে।