fbpx

‘সঙ্গীতের ধারা থেকে এক মূহুর্ত বিচ্যুত হইনি’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সুরের রক্তধারা বইছে এ পরিবারে। কিংবদন্তি শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের পুত্র সাবেক প্রধান বিচারপতি মুস্তফা কামাল। তার মেয়ে প্রখ্যাত গায়িকা ও শিক্ষাবিদ ড. নাশিদ কামাল। এখানেই শেষ নয়। ড. নাশিদ কামালের মেয়ে আরমীন মুসা বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন সঙ্গীত তারকা।

আব্বাসউদ্দীন আহমদের ৬১ তম প্রয়াণ দিবসে বিবিএস বাংলা’র মুখোমুখি হয়েছেন আরমীন মুসা। জানিয়েছেন বরেণ্য সঙ্গীত পরিবারে জন্ম নেওয়া ও প্রমাতামহ সম্পর্কে তার ভাবনা।

প্রথমে আসলে বলতে চাই এটি আমার ভাগ্য। যেটি সবার বেলায় হয়না। যতোটা শিখেছি প্রতিষ্ঠান থেকে। মনে হয় তার চেয়ে বেশি পরিবার থেকে পেয়েছি। এ ঋণ কখনোই শোধযোগ্য নয়।

আমার কাছে সঙ্গীত বিষয়টিই অন্য রকম। মানুষকে সঙ্গীতের কাছে ফিরতেই হয়। এর প্রমাণ আমরা এই কোভিডপর্বে পেয়েছি। এসময় ঘরবন্দি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা ছিল সঙ্গীত। সেই সঙ্গীতের ক্ষমতা বিগত শতাব্দিতে টের পেয়েছিলেন আমার বড় আব্বা আব্বাসউদ্দীন আহমদ। যেটি একটি বড় ঘটনা। উনি নিজে সেটা টের পেয়েছেন শুধু তা নয়। তিনি এই সঙ্গীতকে বিস্তৃত করেছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীও তিনি তৈরি করেছেন।

আমাদের পরিবারটিকেও বড় আব্বা সঙ্গীতের আবহে তৈরি করেছেন। এটি এক আর্শিবাদ আমাদের জন্য। সেই আমলে তিনি তার মেয়ে ফেরদৌসী রহমানকে গান শিখিয়েছেন। যেটি সে আমলের একটি মুসলিম পরিবারে ভিন্ন ঘটনা। সাহসী পদক্ষেপ।

শুধু তাই নয়, বড় বড় সঙ্গীতের আসরে তাকে নিয়ে যেতেন। সেই ফেরদৌসী রহমান আবার টিভিতে ‘খালামণি’ হয়ে অগুণিত সঙ্গীত শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন। সেই পরম্পরায়ই আমরা এসেছি। তাই আব্বাসউদ্দীন আহমদের কীর্তি আজকের দিনেও বহমান। তার কোনো মৃত্যু নেই। সৃষ্টিগুণেই তিনি এখনও বিরাজ করছেন। আর নিজের কথা বললে বলতে হয়, আমরা সেই সঙ্গীতের ধারা থেকে এক মূহুর্ত বিচ্যুত হইনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply