fbpx

সচেতন ক্রেতা, রুখতে পারে প্রতারণা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পণ্য কিনে প্রতারিত হলে কোথায় অভিযোগ করবেন? কার কাছে বলবেন, আপনার চাহিদানুযায়ী পণ্যটির দাম মোড়কের দামের চেয়ে বেশি রাখা হয়েছে অথবা পণ্যটি মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা পণ্যের মধ্যে আছে ত্রুটি। কুরিয়ার সার্ভিস হারিয়েছে আপনার পার্সেল অথবা যেকোন যানবাহনে দিতে হয়েছে টিকেটে উল্লেখ করা ভাড়ার চেয়েও বাড়তি ভাড়া।

ভোক্তার যেকোন সমস্যা সমাধানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে আছে সমাধান। তার জন্যে প্রথমেই অধিদপ্তরকে অভিযোগটি লিখিত আকারে জানাতে হবে। সেটা হতে পারে ফ্যাক্স, ই-মেইল অথবা ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি অধিদপ্তরের অফিসে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘ভোক্তার অধিকার রক্ষা করার জন্যেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে। এই অধিদপ্তর মোটা দাগে তিনটি কাজ করে। প্রথমত বাজার মনিটরিং করা অর্থাৎ অভিযান পরিচালনা করা। ভোক্তা যেনো বাজারে যেয়ে না ঠকে বা অসাধু ব্যবসায়ীরা যেনো ভোক্তাদের ঠকাতে না পারেন, তার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। অভিযানে বিক্রেতার কোন অন্যায় বা অপরাধ ধরা পড়লে সাথে সাথে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে জরিমানা করা হয়।

‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ভোক্তা যদি কোন পণ্য কিনে ঠকেন, তাহলে এক মাসের মধ্যে অধিদপ্তরে এসে লিখিত অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ। এরপর দুই পক্ষকে ডেকে এনে শুনানি হয়, শুনানি শেষে ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়। আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ পাবেন অভিযোগকারী ভোক্তা’, জানালেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা।

শুধু রাজধানীতে নয়, প্রতিটি জেলার ভোক্তারা এখন তাদের সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা পাচ্ছেন জেলা ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসারদের কাছ থেকে। শুধু ভোক্তার অভিযোগ সমাধান নয়, মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা এবং জনগণের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়ানোর কর্মসূচিও পালন করে অধিদপ্তর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply