fbpx

সত্যি হলো আশঙ্কা, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ বার্সেলোনা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ‘ই’ তে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ফিরতি ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। বার্সেলোনার হারের রাতে বেনফিকা ডায়নামো কিয়েভের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জিতে গ্রুপ ‘ই’ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করেছে। বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে হারে বিশ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পরলো বার্সা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে বার্সেলোনার জন্য হিসেবটা বেশ সহজ ছিল। বায়ার্ন মিউনিখের সাথে জিতলেই পরের রাউন্ডে যেতে পারতো বার্সা, অথবা বেনফিকার নিজেদের মাঠে জয় বঞ্চিত হতো ডায়নামো কিয়েভের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে দু’টোর কোনোটাই হয়নি। তাই দুনিয়াভর বার্সা ফ্যানরা যে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পরার ভয় নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিলেন তাই সত্যি হয়েছে।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বার্সেলোনা পিছিয়ে যায় ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই। আধা ঘন্টা পার হতেই বায়ার্ন গোল মেশিন রবার্ট লেভান্ডফস্কির অ্যাসিস্টে গোল করেন থমাস মুলার। লেভার ক্রসে মুলারের বাড়ানো বল বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরুজো গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করার চেষ্টা চালালেও রেফারি গোলেরই সিদ্ধান্ত দেয়। মুলার বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নিজের ৮ নম্বর গোল করেন মাত্র সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমেই। অষ্টম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ৫০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেন মুলার।

প্রথম গোল পেতে বায়ার্নকে যতোক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিলো, দ্বিতীয় গোল পেতে ততোটা অপেক্ষা করতে হয়নি। কিংসলে কোম্যানের অ্যাসিস্টে বায়ার্নকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন লিরয় সানে। দ্বিতীয় গোল হজম করাতে সম্পূর্ণ দোষই ছিল বার্সা ডিফেন্সের, সানে বার্সার গোললাইনে প্রচুর স্পেস পেয়ে যান ফলে বল সহজেই জালে জড়ান।

সত্যি হলো আশঙ্কা, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ বার্সেলোনা!

বায়ার্নকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন লেরয় সানে।

হাফ টাইমের আগেই বার্সেলোনা মূলত ডাবল শক পায়। জার্মানিতে নিজেরা ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার সাথে সাথে বেনফিকাও নিজেদের মাঠে ডায়নামো কিয়েভের বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল। মূলত সেকেন্ড হাফে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ম্যাচে কামব্যাক করে ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন কাজ ছিল। বার্সার কঠিন কাজটা অসম্ভবে রুপ দিতে বায়ার্ন মিউনিখ সময় নেয় আরও মিনিট বিশেক। দ্বিতীয়ার্ধের সতেরোতম মিনিটে বায়ার্ন মিউনিখ ৩-০ গোলের লিড নেয়। বায়ার্নের হয়ে ৩ নম্বর গোলটা করেন তরুন জার্মান মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা।

ম্যাচের ঘণ্টা পেরোতেই ৩ গোলে পিছিয়ে পরা বার্সেলোনা ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। পুরো ৯০ মিনিটের খেলায়ও উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ বানাতে পারেনি বার্সা ফরোয়ার্ড লাইন। এই হারে বার্সেলোনার ঠাঁই হবে ইউয়েফা ইউরোপা লিগে। শেষবার ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সারির এই আসরে বার্সেলোনা খেলেছিলো ২০০৩-০৪ মৌসুমে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply