বাড়ছে শীতের তীব্রতা। গতকাল এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) তা আরও কমে ৯ দশমিক ৪ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকেই একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে দেশের প্রায় ৩৩ অঞ্চলের তাপমাত্রা নেমে গেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। গতকাল শুক্রবার ২০ জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৫ এর নিচে। অর্থাৎ আরও বেশি এলাকায় শীত ছড়িয়ে পড়ছে। এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা ছাড়া ১৫ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়া বাকি অঞ্চলগুলো হচ্ছে, রাজশাহীতে ১০, যশোরে ১০ দশমিক ২, সাতক্ষীরায় ১০ দশমিক ৫, ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ৭, তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৯, গোপালগঞ্জে ১১ দশমিক ৪, বদলগাছিতে ১১ দশমিক ৭, রাজারহাটে ১১ দশমিক ৮, বরিশালে ১২, কুমারখালী ও তাড়াশে ১২ দশমিক ২, খেপুপাড়ায় ১২ দশমিক ৩, খুলনায় ১২ দশমিক ৫, দিনাজপুরে ১২ দশমিক ৬, ভোলায় ১৩, পটুয়াখালী ও মোংলায় ১৩ দশমিক ৩, ফরিদপুরে ১৩ দশমিক ৪, রাঙ্গামাটি, সৈয়দপুর, মাদারিপুর ও টাঙ্গাইলে ১৩ দশমিক ৫, নিকলিতে ১৪, ডিমলায় ১৪ দশমিক ২, সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩, বগুড়ায় ১৪ দশমিক ৬ এবং ফেনীতে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
