fbpx

বেড়েছে চাল-আটা-চিনির দাম; কমেছে ডিম-মুরগির

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দু-তিন টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মোটা চাল বি-২৮-এর দাম ছিল ৫৭-৫৮ টাকা, এখন যার দাম বেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকায়। চিকন চাল মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় এবং নাজিরশাইল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

চালের দামের পাশাপাশি বেড়েছে আটার দামও। বাজারে খোলা আটার দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৫২-৫৫ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় আরও যোগ হয়েছে চিনি। তবে কমেছে ডিম, মুরগি ও সবজির দাম।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সব কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বলছে, বৃহস্পতিবার বাজারে খোলা আটার দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা এক মাস আগের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি।

এছাড়া কোম্পানি আটার দুই কেজির প্যাকেটের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ১২৫ টাকা। এর আগে আটার দুই কেজির প্যাকেটের খুচরা দর ছিল সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা। সেই হিসাবে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা।

টিসিবি বলছে, খোলা ময়দার দামও বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। আলুর কেজি ৩০ টাকা, শসার কেজি ৮০ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৬০ টাকা, গোল বেগুন কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গেল সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।

এছাড়া কাঁচামরিচের দামও কমেছে। ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা ও শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আর রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

এদিকে দাম বেড়েছে চিনির। খোলা প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

বাজারে নতুন দামের ভোজ্যতেল না আসায় আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।

লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply