fbpx

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা ১৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে। কোম্পানিগুলো পরিবেশকদের কাছ থেকে এই দামে তেল সরবরাহের আদেশ দিয়েছে।

তবে দাম বাড়ার খবর পেয়েই বাজারে সয়াবিন তেল বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নির্ধারিত মূল্য ১৩৯ টাকা হলেও তা ১৪০ ও ১৪২ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। কেউ কেউ আবার প্রতি লিটার ১৪৪ টাকাও চাইছেন।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আবার বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখনও নতুন বোতলজাত তেল না আসলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগ খুচরা ব্যবসায়ী এক লিটার তেল বিক্রি করছেন ১৪৫ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন বাজারে লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৬ টাকায়। ১২০ থেকে ১২২ টাকা লিটারে বিক্রি হওয়া পাম সুপারের দাম বেড়ে ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে কিছুটা দাম কমার পর আবার বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৪৫ বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৩৫ টাকা।

তেল, পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে সবজির বাজারও চড়া। বাজারে নতুন আসা ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে কিছু কিছু সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে।

১২০ টাকার বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। কমেছে শশার দামও। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গেল সপ্তাহে যার দাম ছিল ৫০ টাকা।

এছাড়া পটল, বরবটি, ঢেড়স, ঝিঙের দামও কমেছে। পটলের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢেঁড়সের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

আর লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

তবে দাম বাড়ার তালিকায় আছে সজনের ডাটা। গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া  সজনের ডাটার দাম বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। পাকা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁকরোলের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

বাজারে আগের তুলনায় চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৬৬-৬৮ টাকা, মিনিকেট ৬৪-৬৫ টাকা, বিআর–২৮ চাল ৫০-৫২ এবং মোটা চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৭০ টাকা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply