বিশ্বজুড়ে টেকসই এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে স্থিতিশীল ও উন্নত ভবিষ্যত গড়তে কমনওয়েলথকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৪ মে) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এশিয়ার আঞ্চলিক কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের গোলটেবিল সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জ্যেষ্ঠপুত্র ওয়েলস চার্লসের প্রিন্স ফিলিপ আর্থার জর্জ এ সভার আহ্বান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানে কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি জানান, জলবায়ুর ক্ষতি প্রশমন এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসা অর্জন করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে অ্যাডাপটেশন লিডার হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। প্রতি বছর জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে বলেও জানান তিনি।
সরকারপ্রধান এ সময় করোনা মহামারীর কথা তুলে ধরে বলেন, সম্পূর্ণ বিশ্ব অনিশ্চিত এক মহামারী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। এই মহামারী স্বাস্থ্য সংকটের বাইরে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। তবে বাংলাদেশ এই মহামারীর ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে এনে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সদস্য দেশ এবং ক্লাইমেট ভালনারেইবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এছাড়া, তিনি গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানের দিকে সবাইকে মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জলবায়ু ক্ষতি হ্রাসের সর্বোত্তম কৌশল হলো গৃহহীনদের আশ্রয় দান করা।