fbpx

সরকারি অনুদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবিতে চলচ্চিত্র পর্ষদের মানববন্ধন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬-১৯৭৭ অর্থবছর থেকে চলচ্চিত্রে অনুদান প্রদানের উদ্যোগ প্রণয়ন করে। দেশের চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের দাবির মুখে সরকার দেশিয় চলচ্চিত্রে শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান প্রদানের পদ্ধতি শুরু করেছিল। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে অনুদান প্রদানের এই ব্যবস্থাটি ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়েছে এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মুখর হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদ। সংগঠনটি সোমবার ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, শুরুর পর্যায়ে চলচ্চিত্র অনুদানেই নির্মিত হয় ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ ও ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র। কিন্তু চলচ্চিত্র অনুদানে এই শিল্পগুণধর্মী চলচ্চিত্রের ধারা বহমান থাকেনি। বিগত বছরগুলোতে অনুদান প্রদানের এই ব্যবস্থাটি ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হয়েছে এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মান ও গুণ উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনে আলোচিত এবং এ বিষয়ে এ যাবত বিভিন্ন সময়ে বহু সেমিনার, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক এই বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে কলাম ও নিবন্ধ লিখে তথ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াস করেছেন। কিন্তু কার্যত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া পাই নি অথবা তথ্য মন্ত্রণালয়কে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।

সংগঠনটি আরো জানায়, আমরা চাই চলচ্চিত্র অনুদানের এই রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় গতিশীল থাকুক। আমরা চাই চলচ্চিত্র অনুদান কেবলমাত্র শিল্পগুণসম্পন্ন নান্দনিক ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের জন্য সংরক্ষিত থাকুক। এটি দেশের তরুণ চলচ্চিত্রকর্মীদের সৃষ্টিশীলতাকে ধারণ করুক। চলচ্চিত্র অনুদান প্রাপ্তিতে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক তদবির বা অন্যান্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অবসান হোক।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply