সরকার প্রতিটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তারপরও জনগনকে সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে খোলা বাজারে কেজি বা লিটারে ৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে এই দামের কোনও পরিবর্তন নেই বলে জানান দোকানিরা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাজার থেকে দেখা যায়, টিসিবির মূল্য তালিকায় এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৮৫ টাকা হলেও খোলা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। চিনির মূল্য ১১০ থেকে ১২০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এছাড়া চিকন দানার লবণের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে প্যাকেটে বেড়েছে ৪ টাকা।
এমনকি তেল, লবণ, চিনি ছাড়াও অনেক পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত দাম। এ বিষয়ে দোকানিদের জিজ্ঞাস করলে তারা কোনও উত্তর দিতে পারেনি।
এদিকে রমজানকে সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে বুট ও ছোলা জাতীয় পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ২ থেকে চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এসব পণ্যের দাম। ছোলা খোসাসহ ৯০, খোসা ছাড়া ১০০। এছাড়া অ্যাংকর ডাল ৫ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকা, কোথাও ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, খেসারি ডাল ৮৫ টাকা, মুগ ডাল ১৫০ টাকা—যা এক মাস আগে ছিল ১৩৫ টাকা। বেসন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাসখানিক স্থির থাকার পর আবারও মাছের দাম বাড়তে শুরু করেছে৷ ১০ থেকে ২০ টাকা করে বাড়ছে কেজিপ্রতি। বাজার ঘুরে দেখা যায়—কেজি প্রতি কই ২৬০, সিলভার কার্প ১২০ টাকা, ইলিশ আকারভেদে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ টাকা, মাগুর ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ছোট ১৪০- ১৬০ টাকা, কারফু (কার্প) ২০০, কাতল-রুই ২৮০, বোয়াল ৭০০ টাকা।
ছুটির দিনে মুরগির দোকানগুলোতে ভিড় থাকলেও দাম ছিল আগের মতোই চড়া৷ কেজিপ্রতি ব্রয়লার সাদা ২৩০ টাকা, লাল ২৮০ ও পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
দুই-একটি ছাড়া সবজির বাজারে এই সপ্তাহে তেমন পরিবর্তন আসেনি। বাজারে কেজিপ্রতি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, সিম ৪০-৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ৪০, টমেটো ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা। ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, মরিচ ১২০ টাকা, লাউ পিস ৪০-৬০ টাকা, লেবু হালি ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।