সরিষা বীজের মতো দেখতে দুই কনটেইনারে ৪২ মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পপি বীজের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগ। সাড়ে ১৭ লাখ ডলার বা ১৫ কোটি টাকা মূল্যের এই চালান আটক করা হয় সোমবার রাতে।
আজমিন ট্রেড সেন্টার নামের পুরান ঢাকার একটি কোম্পানি মালয়েশিয়া থেকে সরিষার বীজের কথা বলে এই নিষিদ্ধ পপি আনিয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর)।
এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম, ‘সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।’
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কন্টেইনার দুটি খালাসের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয় এবং পরে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি।
শুল্ক কর্মকর্তা রেজাউল জানান, ‘নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই বীজের নমুনা চট্টগ্রামে কয়েকটি পরীক্ষাগারে এবং পরে ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার প্রতিবেদনে পেলে নিশ্চিত হওয়ার পর এসব জব্দ করা হয়।’
৪২ মেট্রিক টন নিষিদ্ধ পপি বীজ আটকের ঘটনায় শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তা রেজাউল করিম।
উল্লেখ্য, পপি গাছের তিনশ প্রজাতির মধ্যে ওপিয়াম পপির ফল থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায়, তা দিয়ে তৈরি হয় আফিম, হেরোইন ও মরফিনের মতো মাদক।