fbpx

সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মাথায় আরেকটি মুকুট!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শের ব্যাটে ভর করে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের হারিয়েছে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সেইসাথে সাদা বলের ক্রিকেটে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাছে গিয়েও রানার্স-আপ হয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করতে হলো কিউইদের।

সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মাথায় আরেকটি মুকুট!

দু’জনই তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড, দুর্দান্ত শুরুর আভাস দিয়েও মাত্র ১১ রানেই প্যাভিলিয়নে সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক ড্যারিল মিচেল। সঙ্গীকে হারিয়ে যেন কিছুটা হতাশ মার্টিন গাপটিলও। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলার চেষ্টা করলেও অ্যাডাম জাম্পার বলে মার্কাস স্টয়নিসকে ক্যাচ দিয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন তখন কিউই ওপেনারের নামের পাশে ৩৫ বলে ২৮!

সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মাথায় আরেকটি মুকুট!

জীবন পেয়ে ২৭ বলে করেছেন ৬৪ রান।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ড যে তবুও ১৭২ রান তুলতে পেরেছে স্কোরবোর্ডে, সেটাও অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের কল্যাণেই। কিউই অধিনায়ক খেলেছেন ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। অথচ, ২১ রানেই ফিরতে পারতেন প্যাভিলিয়নে। মিচেল স্টার্কের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। সেই ক্যাচটাতো ধরতেই পারেননি জস হ্যাজলউড, উল্টো করে দিয়েছেন বাউন্ডারি! জীবন পেয়ে পরবর্তী ২৭ বলে উইলিয়ামসন করেছেন ৬৪ রান!

সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মাথায় আরেকটি মুকুট!

বল হাতে ভুলে যাওয়ার মতো একটা দিন স্টার্কের।

বোলিংয়ে অবশ্য দিনটা বেশ ভালো গিয়েছে জস হ্যাজলউডের। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান, নিয়েছেন ৩টি উইকেট। কিন্তু, ঐ একটা ক্যাচ কতটা ভোগাবে অস্ট্রেলিয়া তা নিয়েই তখন আলোচনায় ব্যস্ত ক্রিকেটমহল! মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬০ রান, পাননি কোনো উইকেটের দেখা।

১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফিরেছেন তৃতীয় ওভারেই, ব্যক্তিগত ৫ রানে। সেখান থেকে ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শের ব্যাটে জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া। দু’জনে মিলে ৪৭ বলে গড়েছেন ৯২ রানের জুটি। নিজের প্রথম বলেই মার্শ হাঁকিয়েছেন ছক্কা, ঝড়ো শুরুর পর পুরো ইনিংস জুড়েই মার্শ খেলেছেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট।

সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মাথায় আরেকটি মুকুট!

অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার।

জয়ের জন্য অজিদের তখন প্রয়োজন ৪৮ বলে ৬৭ রান। হাত থেকে ম্যাচটা বেড়িয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে কিউই অধিনায়ক বল তুলে দিলেন ২ ওভারে ৫ রান দেওয়া ট্রেন্ট বোল্টের হাতে। কিউই পেসার দ্বিতীয় বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন ৫৩ রান করা ওয়ার্নারকে; মাত্র ৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নারের উইকেট।

কিন্তু, দিনটা যে মার্শের! পরের ওভারেই বল করতে আসা ইশ শোধিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩১ বলে পূরণ করেছেন নিজের অর্ধশতক। কতটা আক্রমণাত্মক খেলেছেন মার্শ, সেটা বুঝতে হলে একটা সমীকরণে চোখ বুলানোটা জরুরী; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম অর্ধশতক।

সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মাথায় আরেকটি মুকুট!

অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি শিরোপা এনে দিয়েছেন মার্শ।

ম্যাচ জয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, হয়েছেও তাই। ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শের অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন অজিরা। ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply