fbpx

সাকিব-হৃদয়-মুশফিকের ব্যাটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের একাদশে ছিলেন না মিরাজ ও আফিফ। খেলেছেন ইয়াসির রাব্বি ও তৌহিদ হৃদয়।

শুরুটা কিছুক্ষণের জন্য ভালোই মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য। প্রথম ২ ওভারে এসেছিল ১৫ রান। তবে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে পল স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক তামিম। ৯ বলে মাত্র তিন রান করেন তিনি।

তামিমের চলে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে পার্টনারশিপ করেন লিটন দাস। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে কার্টিস কাম্ফারের বলে আউট হন লিটনও। ৩১ বল খেলে তিনি করেন ২৬ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ রান। শান্ত ১৯ বলে ১৩ ও সাকিব ১ বলে এক রান করে অপরাজিত ছিলেন।

দলীয় রান যখন ৮১ তখন ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ২৫ রান করে আউট হন নাজমুল শান্ত। ফর্মে থাকা শান্তর চলে যাওয়াতে অবশ্য তেমন কোনো লোকসান হয়নি বাংলাদেশের। ক্রিজে আসা তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১২৫ বলে ১৩৫ রানের পার্টনারশিপ করেন সাকিব আল হাসান। সাকিব ফেরেন ৯৩ রান করে। তার রান যখন ২৪ হয় তখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার নাম লেখান নতুন রেকর্ডে৷। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের ক্লাবে যোগ হয় মিস্টার সেভেন্টিফাইভের নাম।

অন্যদিকে অভিষেক ম্যাচেই ফিফটি তুলে রেকর্ড করেন তৌহিদ হৃদয়ও। বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে ফিফটি করেন এই ব্যাটার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেন এই ডানহাতি। অভিষেক ম্যাচে নাসির হোসেনের ৬২ রান ছিল এখন অব্দি সর্বোচ্চ। নাসিরের রেকর্ডটাই ভাঙ্গেন হৃদয়।

সাকিব আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৮০ রানের পার্টনারশিপ করেন হৃদয়। ৪৬ তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের বলে আউট হন হৃদয় ও মুশফিক। হৃদয় ও মুশফিক ফেরেন যথাক্রমে ৯২ ও ৪৪ রান করে। হৃদয় বল খেলেন ৮৫টি; মুশফিক মাত্র ২৬টি।

শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ও ইয়াসির রাব্বির ব্যাটে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩৮ রান। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম।

Advertisement
Share.

Leave A Reply