fbpx

সাত গোলের ম্যাচে ম্যানসিটির জয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চ্যাম্পিয়নস লিগে দারুণ এক সেমিফাইনালের স্বাক্ষী হলো ইতিহাদ। ম্যানচেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদিদ্রের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রথম লেগে ৪-৩ গোলে জিতল সিটি।

৯০ মিনিটে সাত-সাতটা গোল! টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে সিটির পক্ষে গোল করেছেন কেভিন ডে ব্রুইনা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফিল ফোডেন এবং বের্নার্দো সিলভা। অপরদিকে, রিয়ালের পক্ষে জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমা। গোলের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও।

ম্যাচ শুরুর মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই গোলের দেখা পেয়ে যান ডি ব্রুইনা। রিয়াদ মাহরেজের দারুণ এক ক্রসে হেডে গোল করেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার। তার ঠিক ১০ মিনিট পরই ইপিএলে আগের ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ৪ হোক করা জেসুস এবার নিজের কারিশমা দেখান। স্কোর লাইন বেড়ে দাঁড়ায় ২-০।

এরপর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া লস ব্লাংকোসদের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সেই করিম বেনজেমা। মাঝমাঠ থেকে রিয়ালের লেফটব্যাক ফারলাঁ মেন্দির ক্রসটা ঠিকভাবে সামলাতে ব্যর্থ হন সিটির লেফটব্যাক আলেকসান্দর জিনচেঙ্কো। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েই সামনে থাকা বেনজেমা বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষ ২-১ গোলের ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে ২ মিনিটের ব্যবধানে দুই দলই গোল দেয়। ৫৩ মিনিটে সিটির পক্ষে ফোডেন আর ৫৫ মিনিটে রিয়ালের পক্ষে ভিনিসিয়ুস গোল করলে ৩-২ এ খেলা আরো জমে ওঠে।

এমনিতেই এই ম্যাচে মূল সেন্টারব্যাক ডেভিড আলাবা এবং লেফটব্যাক ফারলাঁ মেন্দি পুরোপুরি ফিট ছিল না। ফলে ৭৪ মিনিটে রিয়াল-রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আবারও পেপ গার্দিওলার দলকে এগিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা।

শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ। তখনও যে বেনজেমার গোল পিপাসা মেটেনি! ম্যাচের ৮২ মিনিটে পানেনকা পেনাল্টিতে গোল করেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের মৌসুমে তার ১৪তম গোল।

রিয়ালের ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৪-৩। আর তাতেই হেরেও খানিকটা স্বস্তি আর আত্ববিশ্বাস নিয়েই সিটির ঘরের মাঠ ছেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। কারণ, আগামী ৫ মে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগে নামার আগে খুব বেশি পিছিয়ে রাখা যাবে না তাদের।

Advertisement
Share.

Leave A Reply