গত বুধবার নিখোঁজ হওয়া ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর সাবমেরিনটির তিন টুকরো অবস্থায় খোঁজ পাওয়া গেছে বালি দ্বীপের সাগরের ৮৫০ মিটার গভীর তলদেশে। আর এর ৫৩ নাবিকের সবাইকেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার সামরিক ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এ কথা জানান। খবর বিবিসি।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে মৃত নাবিকদের স্বজনদেরকে সমবেদনা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
প্রেসিডেন্ট জোকো বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় আমরা সবাই গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশেষ করে সাবমেরিনের ৫৩ জন নাবিকদের পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফ এডমিরাল ইয়োদো মারগোনো সাবমেরিনটি তিন খণ্ড হয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর জানান। তিনি বলেন, সাবমেরিনের পাটাতন, সামনের অংশ এবং মূল অংশ সবকিছুই টুকরো হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ব্যবহার করে ভাঙা সাবমেরিনের ছবি তুলে আনা হয়েছে বলেও বিবিসিকে জানান তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার সামরিক কমান্ডার এয়ার চিফ মার্শাল হাদি গতকাল বলেছেন, ‘উদ্ধারকারী জাহাজের তোলা ছবিতে দেখা যাওয়া টুকরোগুলো নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনের বলে আমরা নিশ্চিত করছি। এই প্রমাণের ভিত্তিতে আমি ঘোষণা দিচ্ছি, নাংগালা সাবমেরিন ডুবে গেছে এবং এর সব নাবিকের মৃত্যু হয়েছে।’
তবে, সাবমেরিনটির ডুবে যাওয়ার কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে চিফ অব স্টাফ এডমিরাল ইয়োদো মারগোনো বলছেন, মানুষের ভুলের জন্য নয়, বরং প্রাকৃতিক বা পরিবেশগত কোনও কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
এর আগে শনিবার ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছিল। সেদিন অনুসন্ধানী দল ডুবে যাওয়া সাবমেরিনের কিছু ধ্বংসাবশেষসহ একটি জায়নামাজ, সাবমেরিনের নোঙ্গর এবং নাবিকদের সুরক্ষা পোশাকের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে পায়।
গত বুধবার কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি বালি সাগরে এক সামরিক মহড়ার সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ হয়। এটি হারিয়ে যাওয়ার তিনদিন পেরিয়ে গেলে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এর নাবিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।